আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার |

kidarkar

কিছুটা কমেছে সবজির দাম

কিছুদিন আগে সবজির ভরা মৌসুমেও দাম ছিল চড়া। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে এখন কিছুটা কমেছে সবজির দাম। করোলা, ঢেঁড়সসহ দুই একটি সবজির দাম চড়া থাকলেও বেশিরভাগ সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দরের এমন চিত্র দেখা গেছে। কিছুদিন আগে সবজি বিক্রেতারা দাবি করেছিল— ক্ষেতে চাষ করা সবজিগুলোর শেষ সময় থাকায় সরবরাহ কমে বেড়েছিল দাম। তবে এখন নতুন করে চাষ করা সবজিগুলো উঠতে শুরু করেছে, সে কারণে বাজারে সরবরাহ বাড়ছে সবজির। তাই আজকের বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম। এই দাম আরও কমে আসতে পারে।

আজ বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা যা কিছু দিন আগে ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছিল, সিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা, তবে বিঁচিযুক্ত সিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল সর্বনিম্ন ৮০ টাকা। ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

অন্যদিকে টমেটোর দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা,কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রুকলি প্রতি পিস ৪০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মালিবাগের একটি বাজারে ছুটির দিন বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আফতাব উদ্দিন রঞ্জু বলেন, গত সপ্তাহেও সবজির বাজার খুব বেশি ছিল। সেই তুলনায় আজ কিছুটা দাম কমেছে। তবে যা দাম কমেছে তার চেয়েও এই সময় সবজির দাম আরও কম থাকা উচিত ছিল। অন্যান্য বছর এই সময় সিম প্রতি কেজি থাকত ৩০ টাকার মধ্যে অথচ আজ সিম কিনলাম ৫০ টাকা কেজি। সে হিসেবে সবজির দাম এখনো বেশি। তবে পুরো শীতকালসহ গত সপ্তাহ পর্যন্ত সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি ছিল। সবজির বাজার গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ঠিকই কিন্তু মৌসুম হিসেবে এখনও দাম বাড়তি রয়ে গেছে।

রাজধানীর মহাখালীর কাঁচা বাজারে ঘুরে ঘুরে সবজি কিনছিলেন আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এবার শীতের মৌসুমে অর্থাৎ যে সময় সবজির ভরা মৌসুম ছিল তখন আমরা অতিরিক্ত বাড়তি দামে সব ধরনের সবজি কিনেছি। আগে কোন বছরেও সবজির দাম এতটা বেশি ছিল না। তবে কি কারণে এই সময় সবজির দাম এত বাড়তি গেল তা আমার মতো সাধারণ ক্রেতাদের জানা নেই। এর পাশাপাশি বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহেও সবজির দাম অনেক বেশি ছিল, সে তুলনায় আজকের বাজারে সবজিগুলোর দাম অল্প কিছু করে কমেছে।‌ তবে সেই কমা একেবারে খুব বেশি নয়, ৫ থেকে ১০ টাকা করে প্রতিটি সবজির দাম কমেছে। কিন্তু এই সময় সবজিগুলোর দাম আরো কম হওয়া উচিত ছিল।

গুলশান লেকপার কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, কিছুদিন আগের চেয়ে সবজির বাজার কমতে শুরু করেছে। দুই‌ একটি ছাড়া আজকে প্রায় সবগুলো সবজির দাম গত কিছুদিনের চেয়ে কমেছে। কিছুদিন আগে সবজির সরবরাহ কমে গিয়েছিল, যে কারণে বাড়তি ছিল সবজির দাম। আসলে সে সময় ক্ষেতের ফসলগুলো শেষ দিকে ছিল, সরবরাহ কমে গিয়েছিল বাজারে; সবমিলিয়ে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি দাম ছিল। কিন্তু এখন আগের চেয়ে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে , সে কারণে কিছুটা কমে আসতে শুরু করেছে সবজির দাম।

তিনি আরও বলেন, এখন পাইকারি বাজারে তুলনামূলক কম দামে সবজি পাচ্ছি, সে কারণে খুচরা বাজারেও আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি করছি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.