আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

ভারতীয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আট গুপ্তচরকে ছেড়ে দিয়েছে কাতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরগিরি করার দায়ে গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক আট কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। গত বছরের শেষ দিকে তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়েছিল দেশটি। তবে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতায় অবশেষে ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্যদের ছেড়ে দিয়েছে কাতার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এই আটজনের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তারা দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের কারাগারে বন্দি ছিলেন।

এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র ফিরে আসার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। তারা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন। আটজনের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন। এসব ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কাতারের আমির নিয়েছিলেন। আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই।”

এই দাহরা গ্লোবালের হয়ে কাজ করার সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর এসব কর্মকর্তা ইসরায়েলের কাছে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ড ও সবশেষে মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা হলেন— ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। তাদের ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন।

ভারতীয় নৌবাহিনীর এসব কর্মকর্তা দেহরা গ্লোবাল নামের এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাতারের নৌবাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। তাদের কাজ ছিল— কাতারি নৌবাহিনীর সদস্যদের ইতালির ইউ২১২ সাবমেরিনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া।

কাতারের একটি আদালত ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই সময় ভারত জানিয়েছিল, এই রায়ে তারা ‘বিষ্মিত’ হয়েছে। এরপর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে দেশটি। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে মৃত্যুদণ্ডের সাজা স্থগিত করে তাদের অন্য সাজা দেওয়া হয়।

মুক্তিপ্রাপ্ত একজন জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের কারণে তারা ছাড়া পেয়েছেন। এজন্য তারা সবাই মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.