আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

বিএনপির সঙ্গে জনগণ নেই, তাদের কর্মীরাও নেই : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও সার্বভৌমত্বে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোন বিবেকবান রাজনীতিবিদ এ কথা বলতে পারেন না। এটা হচ্ছে পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ। বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবনই। তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য বিষয়। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা। জনগণ নেই, তাদের কর্মীরাও নেই। এখন কিছু না কিছু তো জনগণ ও কর্মীদের সামনে বলতে হবে। এ জন্য কথামালার চাতুরি তারা করছে।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তারপরও আজকে এই সংকটে সিকিউরিটির মতো সেনসেটিভ ইস্যুকে নিমন্ত্রণ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশগ্রহণ করা এটা বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। সবচেয়ে বেশি জোরালো বক্তব্যের এই দুঃসাহস আগে কোনো নেতা দেখাতে পারেননি, বিশেষ করে স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা নিয়ে। এখানে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা দেখলাম।

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ সদা জাগ্রত। মিয়ানমারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এর ফলে সীমান্তে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকতে পারে, হতে পারে। কাজেই এই বিষয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে।

গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ভাঙা হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে যারা জাতীয় পার্টির সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছে এর বাইরে যারা জাতীয় পার্টির নামে কোনো একটা ভাগ সৃষ্টি করা সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। এতে জাতীয় সংসদে থাকা জাতীয় পার্টির কেউ নেই। জাতীয় সংসদে যারা বিরোধী দল তারা সংসদ সদস্য। এর বাইরে যারা আছেন তারা কেউ সংসদ সদস্য নন। কাজেই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো কিংবা উদ্বেগের কিছু নেই।

দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধী দলের এখন আর কিছু নেই। জনগণ নেই, তাদের কর্মীরাও নেই। এখন কিছু না কিছু তো জনগণ ও কর্মীদের সামনে বলতে হবে। এ জন্য কথামালার চাতুরি তারা করছে। কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছু কিছুর দাম কমতির দিকে। বাজারে ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই, যা করণীয় অবশ্যই করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.