আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার |

kidarkar

রাশিয়ার আক্রমণের ফল ভোগ করবে কয়েক প্রজন্ম : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবিলম্বে রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার ফলকার ট্যুর্ক বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অসংখ্য মানুষ কষ্টের মধ্যে আছেন। এই যুদ্ধের ফল কয়েক দশক ধরে মানুষ ভোগ করবে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। তার দুই বছর পূর্তির ঠিক আগে ট্যুর্ক বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পুরোদস্তুর আগ্রাসনের একটা ভয়ংকর মানবিক মূল্য রয়েছে। লাখ লাখ বেসামরিক মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। যারা অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত করার দাবি জানিয়ে ট্যুর্ক বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করতে চলেছে। এই যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে প্রচুর মানুষ ও পশুর মৃত্যু হয়েছে। ভয়ংকর ধ্বংসলীলা চলেছে। ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কয়েকশ হাসপাতাল ও স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউক্রেনের মানুষ কয়েক প্রজন্ম ধরে এর ফল ভোগ করবেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার মনিটরিং মিশন জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ১০ হাজার ৫৮২ জনের মারা যাওয়ার বিষয়টি তারা যাচাই করে দেখেছেন। এছাড়া আরও অনেকে মারা যেতে পারেন। মৃতের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়বে।

ওডেসাতে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

ইউক্রেনের বন্দর ওডেসাতে রাশিয়ার ড্রোন হামলা হয়েছে। এর ফলে পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের সংখ্যা জানা যায়নি।

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে, অনেকগুলো বাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে। ওডেসা হলো দক্ষিণ ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর। এখানে প্রায়ই বিমান হামলা করে রাশিয়া।

প্যারিসে ইউক্রেন নিয়ে শীর্ষ বৈঠক

এই বৈঠকের উদ্যোক্তা হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর শেষ হচ্ছে। এই সময় আবার সাহায্যকারী দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য এবং ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য আলোচনা করা দরকার।

এই শীর্ষবৈঠকে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ অংশ নেবে। ফ্রান্সের কর্মকর্তারা জানিয়ছেন, ম্যাক্রোঁ রাশিয়াকে একটা বার্তা পাঠাতে চান। সেটা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও ইউরোপ এখনো ইউক্রেনের সঙ্গে আছে।

জার্মান পার্লামেন্টে ইউক্রেন ইস্যু

ইউক্রেনকে টাউরুস ক্রুজ মিসাইল দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের আনা প্রস্তাব পার্লামেন্টে খারিজ হয়ে গেছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস এই ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে দেওয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি মনে করেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিলে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়বে।

বিরোধী সিডিইউ অবশ্য শলৎসের যুক্তি মানতে রাজি হয়নি। তাদের মতে, পুতিন যখন চাইবেন, তখনই যুদ্ধের তীব্রতা বাড়বে। তাদের মতে, এই দূরপাল্লার অস্ত্র পেলে ইউক্রেনের সুবিধা হতো।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.