আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

আসছে ২ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোর আগ্রহ থাকায় আবারও দুই হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। দুই ধাপে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ওই বন্ড ইস্যু হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ‘ক্যাশ অ্যান্ড ডেবিট ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র (সিডিএমসি) এক সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিডিএমসি’র ৫২তম সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানেই উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই বন্ড বাজারে ছাড়া হবে। সভা সূত্রে জানা গেছে, শরীয়াহ ভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যাংকের ইসলামিক উইন্ডো ও শাখার ২০২৩ সালে নভেম্বর ভিত্তিক বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রায় সাড়ে ৭ শত কোটি টাকা উদ্ভূত তারল্য বিদ্যমান।

এছাড়া কনভেনশনাল ব্যাংকের উদ্ভূত তারল্যের পরিমাণ ৩ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সুকুক ক্রয়ে উৎসাহ কিছুটা হ্রাস পেলেও বর্তমানে অনুমোদিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোর আগ্রহ কিছু টাকা ফিরে এসেছে।

ইতোপূর্বে সুকুক হতে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা আহরণ হয়েছে। এই অবস্থায় জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার কোটি টাকা করে ৫ বছর মেয়াদি সুকুক ইস্যু করার উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে সাড়া পাওয়া গেলেই দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার কোটি টাকা সুকুক ইস্যু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

বাংলাদেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ নামে প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য সর্বপ্রথম সুকুক বন্ড (ইজারা সুকুক) ইস্যু করা হয়। যেখানে মূল উদ্যোক্তা হলো বাংলাদেশ সরকার ও মধ্যস্থতাকারী হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই নিয়ে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর সরকারের অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং প্রথম দফায় ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড চালু করা হয়। এটিই সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া প্রথম ইসলামী বন্ড।

সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক চার হাজার কোটি টাকা করে দুই দফায় বিনিয়োগকারীদের কাছে সুকুকের সার্টিফিকেট ইস্যু করে।

আরবি শব্দ সুকুক অর্থ হচ্ছে সিলমোহর লাগিয়ে কাউকে অধিকার ও দায়িত্ব দেওয়ার আইনি দলিল। সুকুক ইসলামি রীতি অনুসরণ করা হয়।

এখানে সুদের ব্যবস্থা নেই, আছে মুনাফা; যা আগে থেকে নির্ধারণের উপায় নেই। যেটি বাৎসরিক কর্মকাণ্ডের আয়-ব্যায়ের ওপর নির্ধারিত হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.