রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারের পথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শেয়ারবাজার ডেস্ক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি বঙ্গবন্ধু টানেল পরিদর্শন শেষ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ট্রেনে করে কক্সবাজার ভ্রমণে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
যাত্রা শুরুর প্রাককালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে তিনি বলেন, দেশের সামর্থ্য জানান দিতে রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল পরিদর্শন ও কক্সবাজার দর্শনে যাওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কক্সবাজারের সৌন্দর্য ও আমাদের সামর্থ্যের কথা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। পরে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের একটি বিশেষ ট্রেন দর্শনার্থীদের নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
মন্ত্রী জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডরস আউটার প্রোগ্রাম-এর অংশ হিসেবে এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও তাদের প্রতিনিধি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে যে টানেল, এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল-ভুটান কোথাও নদীর নিচে টানেল নেই। এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যাতে আমাদের দেশকে জানেন। আমাদের দেশে কী ধরনের উন্নয়ন হচ্ছে তা যেন তারা জানেন। এ কারণে তাদের ঢাকার বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।
সকালে আমরা বঙ্গবন্ধু টানেল পরিদর্শন করেছি। এখন ট্রেন যোগে কক্সবাজার যাচ্ছি। এটি আমাদের অনেকের জন্য এ রুটে প্রথম ট্রেন ভ্রমণ, যা আমাদের উন্নয়নের প্রতীক, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইনের সমীক্ষা হয়েছে বৃটিশ আমলে। কিন্তু দোহাজারীর পর তা আর এগোয়নি। এ জনপদের মানুষ একশ পঁচিশ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। তাই আমরা রাষ্ট্রদূতদের ট্রেনে করেই কক্সবাজার নিয়ে যাচ্ছি।
এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বিষয়টি দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, যা চাইলেই তিনি প্রকাশ করতে পারেন না বলে উত্তর দেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ পুলিশের দুটি বাসে চড়ে রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও তাদের প্রতিনিধি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে এসে পৌঁছান।