মার্চেই ভারতে কার্যকর হচ্ছে বিতর্কিত নাগরিক আইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্চ থেকেই বিতর্কিত ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন’ (সিএএ) কার্যকর হয়ে যাবে। এই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম নাগরিকদের (হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ) ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই ওই তিন দেশ থেকে ভারতে আসা ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য অনলাইন পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে এমনকি দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এর ‘ড্রাই রান’ও শুরু হয়ে গেছে। তবে সমালোচকদের দাবি, এই আইন কার্যকর হলে বৈষম্যের শিকার হবে মুসলমানরা। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এই খবর জানিয়েছে এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডের মতো ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম।
সেখানে বলা হয়েছে আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আর সেই সাথেই দেশজুড়ে চালু হয়ে যাবে নির্বাচন আচরণবিধি। ফলে তার আগেই সিএএ নিয়ে বিধি প্রণয়নের (রুল ফ্রেম) বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিতে চায় ভারত সরকার।
সূত্রে খবর সিএএ’র ফলে প্রতিবেশি ওই তিন দেশ থেকে আসা উদ্বাস্তু মানুষ- যাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি নেই তারা উপকৃত হবেন। এখনো পর্যন্ত যেসব উদ্বাস্তুরা ভারতে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসা নাগরিকের সংখ্যাই বেশি। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা মঞ্জুর করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে দেশটির বিভিন্ন জেলা শাসকদের।
গত দুই বছরে নয়টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ৩০টিরও বেশি জেলা শাসককে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষমতা দেয়া রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মোট ১৪১৪ জন অমুসলিম সংখ্যালঘুকে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের অধীনে নিবন্ধনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল।
ইতোমধ্যে এই দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে জাহাজবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরসহ দলের শীর্ষ নেতারা জোর দিয়ে বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন চালু হবে। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘সিএএ দেশের একটি আইন, এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে এবং নির্বাচনের আগেই এই আইন চালু হয়ে যাবে।’
শেয়ারবাজারনিউজ ডটকম/ শি.