আজ: সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ইং, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও স্বল্প সময়ে বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করা সম্ভব

নিজের প্রতিবেদক: রাজধানীতে আয়োজিত একটি কর্মশালায় বক্তারা ১৬নং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেন। অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন বলো তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। আদালতে বিচারাধীন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে একটি ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের পথ প্রশস্ত করার বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।

২৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড এর সহায়তায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়কারী মোঃ আখতার হোসেন বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-১৬ অর্জন করা সম্ভব না হলে অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে শক্তিশালী তথ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো শান্তিপূর্ণ, ন্যায়বিচার ভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমুলক সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখবে। ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রীতা সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা ব্যহত করে। আমি আশাবাদী এই কর্মশালা শেষে আমরা আরো সমন্বিতভাবে কাজ করে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।”

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার বলেন, “আমাদের সকলের অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা হল শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমুলক সমাজ গঠন। ১৬নং এসডিজি-এর লক্ষ্য হলো সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ। আইন ও বিচার বিভাগসহ অন্যান্য মন্ত্রনালয় এসডিজি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যমত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে জিআইজেড এর সহায়তায় আইন মন্ত্রণালয় জাস্টিস অডিট নামে কার্যক্রম গ্রহণ যার মাধ্যমে এসডিজি-১৬ এর বেইস লাইন নির্ধারিত হয়।”

বাংলাদেশ সরকারের ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (বাজেট ও উন্নয়ন) শেখ হুমায়ুন কবির বলেন, “সরকার দরিদ্র এবং অসহায় নাগরিকদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ‘অনলাইন আইনি সহায়তা পরিষেবা’ চালু করেছে। শুধুমাত্র গত বছরেই নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ আশি হাজারেরও বেশি নাগরিক সরকারী আইনি সহায়তা পেয়েছেন।”

জিআইজেড বাংলাদেশ থেকে মারটিনা বুকার্ড বলেন, “জিআইজেড বাংলাদেশ থেকে আমরা টেকসই উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সহযোগীতায় সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আমরা একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে আইন মন্ত্রণালয়, এনজিও ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিত্বকারীসহ সম্মানিত প্যানেলিস্টরা ১৬নং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয়গুলোকে করে বিশেষ পর্যালোচনা করেন। তারা বিচার ব্যবস্থায় বিদ্যমান সীমাবদ্ধতাগুলোকে চিহ্নিত করে সমাধানের প্রস্তাব দেন। তারা ১৬নং এসডিজি এর উপর যৌথভাবে নিরীক্ষণ ও রিপোর্ট করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা স্থাপনের উপরও জোর দেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.