আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

মানুষ খুন আর অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় কোনো ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষ খুন আর অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। অগ্নিসন্ত্রাস করছে। পুড়িয়ে মানুষ মারছে। এ ধরনের অপরাধ যারা করে তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের শাস্তি পেতেই হবে। হুকুমদাতা, অর্থদাতা আর সরাসরি জড়িত কেউ রেহাই পাবে না।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণ ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির তরফ থেকে দেশে-বিদেশে বারবার লেখা হচ্ছে তাদের এত সংখ্যক লোক অ্যারেস্ট। তারা দেশে-বিদেশে নালিশ করছে। বিএনপির সব নাকি রাজবন্দি। যারা এভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারে তারা কি রাজবন্দি হয়? তারা তো সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী এবং অপরাধী। রাজনৈতিক কারণে তো কেউ গ্রেফতার নেই। যারা গ্রেফতার আছে তারা হয় হুকুমদাতা না হয় সরাসরি অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত। অথবা এসব কর্মকাণ্ডের অর্থপ্রদানকারী। এ হুকুমদাতা, অর্থদাতা আর সরাসরি জড়িত কেউই রেহাই পাবে না। এটা হলো বাস্তবতা।

দলের এমপিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নিজ নিজ এলাকায় যারা এ ধরনের অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা চলছে, সেই মামলাগুলো যেন যথাযথভাবে চলে। সাক্ষী-সাবুদ যেন হয়। তারা যেন শাস্তি পায়।

তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, এদের চরিত্র মানুষ খুন আর দুর্নীতি করা। লন্ডন থেকে হুকুম আসে আর এখানে আগুন দেওয়া হয়, মানুষ খুন করা হয়। আবার সেসব খুন আর অগ্নিসন্ত্রাসের ছবিও পাঠাতে হয়। কী চমৎকার কথা! ভিডিও কনফারেন্সে হুকুম আসে। এখানে সেই হুকুম তামিল করা হয়। আগুন দিয়ে মানুষ মেরে, পুলিশ মেরে সেই ছবি লন্ডনে পাঠানো হয়। তাহলে আর সাক্ষী-সাবুদের কী দরকার? তারা নিজেরাই তো আলমত রেখে দিচ্ছে। এ ধরনের খুনি-অগ্নিসন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করলে তারা রাজবন্দি হয় কীকরে?

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, একজন হাজার মাইল দূরে বসে হুকুম দেয়। আর হুকুম তামিল যারা করে তাদের যে বিপদে ফেলা হয়, এটা কি বিএনপির নেতাকর্মীরা বোঝে না? তাদের কি আক্কেল বলতে কিছু নেই? আরেকজন বলছে ছবি গোপনে দাও। ছবি না দিলে নাকি নেতার কাছে তাদের ক্রেডিট থাকে না। এ কেমন নেতা! দূরে বসে নিজে নিরাপদে থেকে হুকুম চালায়, কর্মীদের বিপদে ফেলে। আর এরাও কী ধরনের কর্মী জানিনা।

তিনি বলেন, যারা মানুষ খুন করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে তাদের কেউ ছাড়বে না। সাধারণ মানুষকে বলবো এই খুনি-সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার মত বাংলাদেশেও বিএনপি হাসপাতাল, পুলিশ, ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আজকে গাজায় যে ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, একই কায়দায় বিএনপিও পুলিশকে আক্রমণ করছে, হাসপাতালে আক্রমণ করছে। গাজায়ও হাসপাতালে বোম্বিং হচ্ছে, নারী-শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপিরও ওই একই চরিত্র। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে এসেছে। তারা নির্বাচন করবে না, কারণ তারা জানে ভোট পাবে না, সমর্থন পাবে না। জনগণের ওপর তাদের আস্থা নেই।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.