সিরিজ বাঁচাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রায় দেড় বছর ধরে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ইতিহাস জানাচ্ছে, ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ের মাটিতে সর্বশেষ ১-২ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টিতে শেষবারের মতো সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। মাঝের সময়টায় টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে শতভাগ সাফল্য ছিল টাইগারদের।
অথচ জমজমাট বিপিএল শেষ করার পর সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩ রানের ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। হারের ব্যবধান মাত্র ৩ রানের হলেও বাংলাদেশ যে এই ম্যাচে ভালো খেলতে পারেননি সেটা বোঝা যায়, মাহমুদউল্লাহ আর জাকের আলি অনিকের ইনিংস বাদ দিলে।
গত সোমবারের ম্যাচে তিন বাংলাদেশি পেসারই খরচ করে ফেলেছেন ১২৯ রান। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১০ এর বেশি। মাপহীন আর এলোমেলো বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আজ বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজে লড়াইয়ে ফিরতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে সন্ধ্যা ৬টায় খেলতে নামবে টাইগাররা।
দেড় বছরের জয়যাত্রা চলমান রাখতে আজকের ম্যাচে টাইগারদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যাটিংবান্ধব পিচে দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করতে হবে শরিফুল-তাসকিন-মোস্তাফিজদের।
এর আগে আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের কেউ হারাতে পারেনি টাইগারদের। আরব আমিরাতের বিপক্ষে (২০২২ সালে) তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে, গেল ২০২৩ সালের মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ তে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ এ এগিয়ে আর ২০২৩ সালের জুলাইতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
যে কারণে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে এই সিরিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঠে যে দল ভালো খেলবে তারাই জিতবে। এখন দেখা যাক, মাঠের খেলায় কে কেমন পারফর্ম করে।
বাংলাদেশ দলের সম্ভাব্য একাদশ- লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা দলের সম্ভাব্য একাদশ- আভিষ্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, মাহিশ থিকশানা, আকিলা ধানাঞ্জয়া, বিনুরা ফার্নান্দো ও মাথিশা পাথিরানা।