আজ: রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ মার্চ ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

সহজ জয়ে সমতা ফেরালো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল সিরিজ রক্ষার ম্যাচ। এই ম্যাচে লঙ্কানকের আট উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে টাইগাররা। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) সিলেটে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ব্যাট করে স্বাগতিকদের ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। জবাব দিতে পাঁচ উইকেট ও ১১ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এতে ব্যাটে বলে দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ সমতায় ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।

১৬৬ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার। দুজনের ব্যাটে ভর করে উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৬৩ রান তোলে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। ২২ বলে ২৬ রান করে পাথিরানার বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নাজমুল হাসান শান্ত। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে এগোতে থাকে টাইগাররা।

হৃদয় কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের রূপ বদলায় শান্ত। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ২৫ বলে ৩২ রান এবং শান্তর ৩৮ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে আট উইকেট ও ১১ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। শেষ বলে ছক্কা মেরে নিজের ফিফটি ও ম্যাচ জেতান অধিনায়ক শান্ত।

টস হেরে ব্যাটিং নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে অভিষ্কা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে ভালো শুরু করে তাসকিন। ফার্নান্দো শূন্য হাতে ফিরলেও কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে পাওয়া প্লেতে ৪৯ রান তুলতে পারে লঙ্কানরা।

২২ বলে ৩৬ রান করে ক্যাচ আউট হন কুশল মেন্ডিস। কুশলের বিদায়ের পর পিচের বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি কামিন্দুও। ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

চারিথ আশালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেন তিনি। ১১ বলে ৭ রান করে মোস্তাফিজের প্রথম শিকার হন এই লঙ্কান ব্যাটার।সামারাবিক্রমার বিদায়ের পর ব্যাট চালাতে থাকেন আসালাঙ্কা। তবে ১৪ বলে ২৮ রান করে মাহেদীর বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

সপ্তম উইকেটে দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শেষ পর্যন্ত শানাকার ১৮ বলে ২০ রান এবং ম্যাথিউসের ২১ বলে অপরাজিত ৩২ রানে ভর করে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.