আজ: বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ইং, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

চরের নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে স্ট্যার্ন্ডার্ড চার্টার্ড ও ফ্রেন্ডশিপ-এর চিত্র প্রদর্শনী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে স্ট্যার্ন্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও ফ্রেন্ডশিপ যৌথভাবে ‘পানি, আলো এবং আশা’ শীর্ষক একটি বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। গতকাল ৬ মার্চ বুধবার রাজধানীর গ্যালারি ১০১ এ এই চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত। এই প্রদর্শনীতে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের চরের প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোগ এবং উন্নয়ন স্থান পায়।

এই চিত্র প্রদর্শনীতে প্রান্তিক চরাঞ্চলের নারীদের সংগ্রাম, দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া এবং দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে সাফল্যের গল্প উঠে এসেছে। এতে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাধীনতা, নতুন দক্ষতা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগের জরুরি পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণের চিত্রও ফুটে উঠেছে।

চিত্র প্রদর্শনী সম্পর্কে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “এগুলো শুধু ছবি নয়। এগুলো শুধু গল্পও নয়। এই ফটোগ্রাফগুলো কিছু অবিশ্বাস্য নারীর জীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরে, তাদের সাহস, দৃঢ়তা এবং মর্যাদার কথা বলে। এগুলো পানি, আলো এবং আশার মধ্যে জীবনের গল্প।”

ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান বলেন, “নারীরা প্রতিশ্রুতি, আত্মমর্যাদা, সহানুভূতি এবং সমবেদনা নিয়ে চলে। আর এতেই আমাদের লক্ষ্য অর্জনের শক্তি নিহিত। একজন নারীর জন্য নিত্যদিন কাজ করে যাওয়া এবং উদ্ভাবনী কিছু করা নৈমত্তিক ব্যাপার। আমি বিশ্বাস করি যে, টেকসইতা নিশ্চিত করা এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তৈরি করার জন্য নারীরাই সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। পৃথিবী আজ একটি পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে। সাম্য-সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জন্য প্রচুর পরিশ্রমের প্রয়োজন। যদি আমরা নারীদের ক্ষমতায়ন করি, তাহলে আমরা মানবতাকে এগিয়ে নিতে পারবো।”

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপ এর ডেপুটি ডিরেক্ট এন্ড হেড অব কমিউনিকেশন তানজিনা শারমিন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন, ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেটিং বিটপী দাস সহ আরও অনেকে।

চর পৃথিবীর সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে কয়েকটি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এবং ফ্রেন্ডশিপ চরবাসীদের প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা করেছে, যাতে তাদের কিছুটা হলেও কষ্ট কমে যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিশুদ্ধ পানীর ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ, গাছপালা থেকে সঠিক ছাঁয়া, মাটির ক্ষয় রোধে সহায়তা এবং বিশেষভাবে বিদ্যুৎ সুবিধা। ফ্রেন্ডশিপ-এর সাথে স্ট্যার্ন্ডার্ড চার্টার্ডে হোলিস্টিক সোলার ভিলেজ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ঘুঘুমারীর চরবাসীদের টেকসই সহায়তা প্রদান করা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং ফ্রেন্ডশিপ উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা; ময়মনসিংহ এবং দক্ষিণের জেলা শ্যামনগর, সাতক্ষীরা এবং পটুয়াখালীর ৩৬টি দুর্গম চরের বাসিন্দাদের সহায়তা করার জন্য একটি সামগ্রিক কৃষি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই কর্মসূচিতে ৭ হাজারেরও বেশি কৃষককে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ সেশন, প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা, এবং বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা, খামার যান্ত্রিকীকরণ সহায়তা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

দেশের অগ্রগতির দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসাবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এবং টেকসইয়তার অনুপ্রেরণামূলক গল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। ১১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ব্যাংক ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও উন্নয়ন, বৃহত্তর পরিসরে অন্তর্ভুক্তি তুলে ধরার জন্য সেবার পরিধি এবং স্কেল সম্প্রসারিত করা; এবং নতুন সুযোগ তৈরি করতে নিবেদিত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা এবং টেকসই উদ্যোগগুলো অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে গুরুত্বারোপ করে। এটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আর্থিক স্বাক্ষরতার উন্নতি; কৃষি উদ্ভাবনে সহায়তা; ইতিবাচক সামাজিক রূপান্তরের চালিকা শক্তি হিসাবে খেলাধুলা, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির প্রচার; এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার দিকেও গুরুত্ব দেয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.