আজ: বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ইং, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ মার্চ ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

রমজানে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশসহ ৯ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ।

এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ব্যতীত আরও যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো— ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।

মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে।

‘৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রান পাঠানো হয়েছি।’

‘তবে এ পর্যন্ত সেখানে যত ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে, সেসবের মধ্যে এই বহরটি সবচেয়ে বড়। মোট ৮০টি দেশের অনুদানের ভিত্তিতে বহরটি সাজানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে ৯টি দেশ—ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি,’ আরহাম অনলাইনকে বলেন আবদেল-আলীম কাশতা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। অভূতপূর্ব সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭২ হাজার। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং বেসামরিক লোকজন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এই যুদ্ধের শুরু থেকে হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে এই তিন দেশের উদ্যোগে গাজায় রমজান মাস থেকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধের দুই পক্ষ হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বহু আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি আর হয়নি।

সূত্র : আরহাম অনলাইন

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.