আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ মার্চ ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে পতনের নেপথ্যে কারিগর যেসব কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস আজ বুধবার (১৩ মার্চ) পুঁজিবাজারে পতন হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে পৌনে ৩৩ পয়েন্ট। সূচকের এমন পতনের নেপথ্য কারিগর ছিল ১০ কোম্পানির শেয়ার। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এনালাইসিস পোর্টাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, রেনাটা, পূবালী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, বিকন ফার্মা এবং লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার কারণে আজ ডিএসইর সূচক কমেছে প্রায় ২৪ পয়েন্ট।

আজ ডিএসইর সূচকের পতনের ক্ষেত্রে প্রথম দায় ছিল বেক্সিমকো ফার্মা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২ টাকা ৯০ পয়সা। যে কারণে ডিএসইর সূচকের পতনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটির দায় ছিল ৪.৩৮ পয়েন্ট।

এদিন ডিএসইর সূচক পতনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৬ টাকা ২০ পয়সা। যে কারণে ডিএসইর সূচক পতনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটির দায় ছিল ৪.২৯ পয়েন্ট।

একইভাবে আজ ডিএসইর সূচক পতনের ক্ষেত্রে অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে দায় ছিল স্কয়ার ফার্মা ৩.৩৫ পয়েন্ট, গ্রামীণফোন ২.৪২ পয়েন্ট, রেনাটা ২.৪২ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংক ২.০৫ পয়েন্ট, আইএফআইসি ব্যাংক ১.৬২ পয়েন্ট, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স ১.১৯ পয়েন্ট, বিকন ফার্মা ১.০৮ পয়েন্ট এবং লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড ১.০৭ পয়েন্ট।

৭ উত্তর “পুঁজিবাজারে পতনের নেপথ্যে কারিগর যেসব কোম্পানি”

  • Md DELOWER Hossain says:

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শেয়ার বাজার বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত বাজার কেন ভাল হয় না???
    নিশ্চয়ই এখানে এমন কেউ আছে যারা মার্কেট কে ভালো করে না l
    আসুন সবাই মিলে আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদেরকে ক্ষমা না করে যারা মার্কটকে ভালো করে না।
    আল্লাহ তাআলা তাদেরকে হেদায়েত দিক অথবা ধ্বংস করে দিক দুনিয়া থেকে।
    (যারা মার্কেটকে নিজেদের স্বার্থে খারাপ করে)

  • Kawse Ahamed Majumder says:

    শেয়ারবাজারে আইনের যারা রক্ষক, এদের মধ্যে অনেকেই আছে অন্যায় ভাবে শেয়ার বাজার কে লুটের রাজ্যে পরিণত করছে। এদের বিচার এবং শাস্তি করার মতো বাংলাদেশে কোন আইন আছে বলেই আমার মনে হয় না। অতীত ইতিহাসে অনেক উদ্বোধনদের শেয়ার বাজার নিয়ে কারসাজি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে ।
    অদ্য পর্যন্ত তাদের তেমন কোন শাস্তি বা বিচার হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন যাবত বাজার উন্নতি ঘটেনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, দায়িত্বশীল ও বিনিয়োগকারির মধ্যে যারাই কারসাজি মধ্যে জড়িত থাকবে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে বাজারের উন্নতি স্বাভাবিকভাবেই ঘটবে।

  • মোঃহাবিব উল্লাহ says:

    শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রনে কিংবা স্থিতিশীল আনতে কিছু প্রস্তাবনা।
    ১) প্রতি কোম্পানির অডিট আয়ের উপর ভিত্তি করে PE রেশিও অনুপাতে নিম্ন প্রাইস ও উর্ধ্বে প্রাইস নির্ধারন করা হউক।।যেমন ব্যাংক – বীমা ও আর্থিক খাতের জন্য PE রেশিও ৬ নিম্নে পাইস এবং ৩৫ সর্বোচ্চ প্রাইস। অপরদিকে শিল্প ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বনিম্ন ৮ এবং সর্বোচ্চ ৫০ নির্ধারন করা হউক।
    ২) যে সকল কোম্পানির NAV ১০-৩০ এর মধ্যে তাদের আয়ের ৭০% অবশ্যই বিতরন করতে হবে, আবার যাদের NAV ৩১-৫০ এর মধ্যে তাদের আয়ের ৭৫% অবশ্যই বিতরন করতে হবে, অন্যদিকে যে সকল কোম্পানির NAV ৫১ এর উর্ধ্বে তাদের আয়ের ৮০% অবশ্যই বিতরন করতে হবে এমন আইন তৈরি করে কার্যকর করা হউক।
    ৩) কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারন ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে ২ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৫১% উন্নিত করতে হবে। নতুবা পরিচালকদের জরিমানা করতে হবে সেইসাথে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা অর্ধেক করার বিধান করতে হবে।
    ৪) অর্থ বৎসর শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ ১২৫ দিনের মধ্যে এজিএম শেষ করে লভ্যাংশ বিনিয়োগকারির একাউন্টে পৌছাইতে হবে। এখন নাম ট্র্যান্সফারের কোন ঝামেলা নাই।
    আশা করব উপরোত আইনগুলো তৈরি করে বাস্তবায়ন করলে দীর্ঘস্হায়ী স্থিতিশীলতা আসবে। ফটকাবাজারি থেকে পরিত্রান পেয়ে সত্যিকারের আস্হাশীল মার্কেট হিসাবে পরিগনিত হবে।

  • রনজিত says:

    কারসাজি চক্রের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে কখনো শেয়ার বাজারে স্থিতিশীলতা অর্জিত হবেনা। বিবিধ উপায়ে কারসাজি চক্র বাজারে জুয়ারির কার্যকলাপ পরিচালনা করে থাকে, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজর এড়ানো উচিত নয় কারণ আমাদের দেশের শেয়ার বাজারে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া সমস্যাগুলো কারোই অজানা নয়।বরং দীর্ঘদিনের লালিত একটা প্রকট সমস্যা। তাই প্রয়োজন কঠোর শাস্তির আওতায় আনা। অন্যথায় আগত ভবিষ্যতে কতৃপক্ষকে চরম মূল্য দিতে হবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আত্মহত্যার মতো ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত রাঘববোয়ালদের।

  • Anonymous says:

    আমার মতামত হলো শেয়ার বাজার পতন টা স্বাভাবিক কারন এটা তো ২০ বছর ধরে পিতা মাতা হীন। তার উপর গুজব ও অসাধু নিয়ন্ত্রক সংস্থা তো আছেই। আর এ দেশে নিয়ন্ত্রণ আছে শুধু ক্ষমতা বাকি সব অনিয়ন্ত্রিত।

  • শাওন says:

    আমরাতো বিগত অনেক বছর ধরেই দেখছি যে শেয়ার মার্কেটের বেহাল দশা।জেনে শুনে কেন যে আমরা এখানে এখনও বিনিয়োগ করি সেটা বুঝে আসেনা।আর এই সরকারের অধীনে এই মার্কেট ভাল হবার কোন সম্ভাবনাও নেই সেটা আমরা সবাই ভাল করে জানি।জেনে বুঝে আগুনে পা না দেওয়াটাই উত্তম বলে আমি মনে করি

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.