গুজব-আস্থার সঙ্কটে খাদের কিনারে পুঁজিবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে বড় রকমের আস্থার সংকট চলছে। ফলে টানা দরপতন চলছে পুঁজিবাজারে। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হওয়ার পথে। শেয়ারের দাম কমতে কমতে একেবারে তলানিতে নেমেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারিয়ে দিশাহারা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও একইভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ইক্যুইটি এখন নেতিবাচক। দিন যত যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের অবস্থা তত বেশি নাজুক হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাসের জানুয়ারিতে ‘ফ্লোরপ্রাইস’ প্রত্যাহারের পর বাজারে সূচক ও লেনদেন দুই-ই বাড়তে থাকে। কিন্তু এ সময়ে ভালো কোম্পানির চেয়ে মন্দ কোম্পানির শেয়ারদরই বেশি বেড়েছে। এমনকি কারসাজি করে বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদরও বাড়ানো হয়েছে। এখন এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে তারল্যসংকট রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা গুজব। বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র বাজারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এসব কারণে অনেক বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করছেন। সবকিছু মিলিয়েই পুঁজিবাজারে এমন দশা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছেন, বাজার নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। শেয়ার বাজারে কোনো সমস্যা নেই। মানি মার্কেটে এফডিআরের সুদের হার বেড়েছে। ফলে কিছু টাকা শেয়ার বাজার থেকে মানি মার্কেটে চলে যাচ্ছে। তবে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়লেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে । পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন গুজব ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে কারসাজি চক্র বিনিয়োগকারীদের ভয় দেখিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
গতকাল প্রধান পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। বেশির ভাগ কোম্পানির দরপতন হয়।
আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও শুরুতেই সূচকে ব্যপত পতন হয়। এদিকে টানা দরপতনের মধ্যে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় জরুরি বৈঠকে বসে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষে হয়েছে। একই সঙ্গে এদিন ৩১৯টি কোম্পানির শেয়ারদর পতনে টাকার অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমান।
ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৮৪ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮১৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১৭ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে ১২৬৮ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে ২০২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টি কোম্পানির, বিপরীতে ৩১৯ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল ভাল কাজগুলোকে মলীন করে দিয়েছে এই শেয়ার বাজার ।
আমার মাথায় আসেনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাদেরকে এই দায়িত্বে বসিয়েছেন যারা মার্কেট নিয়ে খেল তামাশা করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সূক্ষ্ম অপমান করছে।
Poor and Small investors must wait 1 year
ফ্লোর প্রাইজ দেওয়া হোক আবারো তীর্ব প্রতিবাদ জানাচ্ছি, তা যদি না হলে আমরা একবারে ধ্বংসের কিনারে চলে যাচ্ছি, যে অবস্থা মার্কেটের আবারো অনুরোধ জানাচ্ছি,ফ্লোর প্রাইজ দেওয়া হোক।
যে পর্যন্ত চোর বাটপারদেরকে সাজা দেওয়া হবে না সে পর্যন্ত বাজার ঠিক হবে না তাড়াতাড়ি ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হোক ধন্যবাদ।
১.এখন সুধের হার বেশি আর ডিএস ই ফ্লোর প্রাইজ তুলে দিলো। আর টাকা চলে গেলো মানি মার্কেট।
২. ডি এস ই এই সময় কোম্পানি জেট ক্যাটাগরি করা।
৩.জেট এর টাকা দিয়ে এ বি কেনা যাবে না। এ বি টাকা দিয়ে জেট কিনা যাবে না।
৪.টাকা আমার।
৫.মার্জিন লোন বন্ধ করুন। একটা সময় মার্কেট আনেক ভালো হবে।
৬.কোন কোম্পানি কি ভাবে আসে সে দিক গুলো নজর দেওয়া।
৭.মার্কেট তার নিজের মত চলে। কেউ ভালো করবে আবার কেউ পিছিয়ে পড়বে।
আল্লাহ হাফেজ।
এগুলো নয় ছয় কথা। শাস্তির কেন দেওয়া যাবে না? SAMART BANGLADESH কোন কিছু করতে কেন এত সময় লাগবে?
আবার ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ক্ষুদ্র বিনোগকারিদের রক্ষা করা হোক
প্রতিটি জিনিসের মুল্য ব্রিদ্ধি হলে কোম্পানির শেয়ার এর মুল্য কেন কমে?এতা কি কারসাজি ধরে নিতেহবে
শেয়ারবাজার যেন দেখার কেউ নেই ।