টানা পতনের পর ইতিবাচক ধারায় পুঁজিবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দরপতনের পর দেশের পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। দরপতনে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বিনিয়োগসীমায় নেমে আসায় কৌশলী বিনিয়োগকারীরা সুযোগ লুফে নিয়েছেন। ফলে দর বেড়েছে অধিংশ কোম্পানির।
চলতি মাসের জানুয়ারিতে ‘ফ্লোরপ্রাইস’ প্রত্যাহারের পর বাজারে সূচক ও লেনদেন দুই-ই বাড়তে থাকে। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুদের হার বেশি হওয়ায় তারল্য সংকট, বড় বিনিয়োগকারীদের সাইডলাইনে থাকা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার হুটহাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অপ্রয়োজনীয় ঘোষণা, ভালো কোম্পানির অভাব, গুজব, মার্জিন ঋণের ফোর্সড সেলসহ বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাজারে টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে দরপতন। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকটি ৬৩৩ পয়েন্ট হারায়। নিয়মিত দরপতনে অধিকাংশ শেয়ারের দর তলানিতে নেমে আসে। এ অবস্থায় কমদরে শেয়ার কেনার সুযোগ নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিন সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীদের একটি অংশকে সক্রিয় হতে দেখা গেছে। ফলে বাজারে কিছুটা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষে হয়েছে। একই সঙ্গে এদিন ৩০৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৫৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১২৭৭ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১২ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ২০৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ৪২১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৪৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।বুধবার ডিএসইতে মোট ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩০৫টি কোম্পানির, বিপরীতে ৫২ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।