আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ মার্চ ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

সিসিইউতে খালেদা জিয়া

শেয়ারবাজার ডেস্ক : শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সরাসরি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হবে।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডাম রাত ৩টায় হাসপাতালে পৌঁছেছেন। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের আরেক সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, হাসপাতালে পৌঁছালে ম্যাডামকে ইমারজেন্সিতে নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে সরাসরি সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তার পুরোনো রোগ লিভার সিরোসিস জটিলতা বেড়ে যাওয়া তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে, শনিবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় যান তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

তখন বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।

এর আগে, ২৭ মার্চ বিএনপি পক্ষে থেকে জানানো হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে পরীক্ষা-নিরিক্ষীর জন্য সেদিন রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। কিন্তু সেদিন রাত ১২ দিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করেন। এরপর চিকিৎসকরা তার বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করান। রাতে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করায় হাসপাতাল না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।’

তবে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।

পরে ২৮ মার্চ দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাডাম এখন ভালো আছেন। তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।

সবশেষ, গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। পর দিন ১৪ মার্চ রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.