গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও পাঁচ ত্রাণকর্মী নিহত
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2024/03/gaza.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও পাঁচ ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং সেখানে ইসরায়েলি সৈন্যরা অভিযান আরও জোরালো করেছে। সংঘাত চলতে থাকায় গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে মানবিক সহায়তায় নিয়োজিত শত শত কর্মী, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সংস্থাটির ১৭৪ কর্মী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭১ জনই ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ এর কর্মী।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এটাই ইতিহাসে তাদের কর্মীদের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। এদিকে গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ৩৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দায়িত্ব পালনের সময় বেসামরিক প্রতিরক্ষার ৪৮ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, তাদের ১৫ জন স্টাফ এবং স্বেচ্ছাসেবক নিহত হয়েছেন।
গাজায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই সেখানে শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে বহু বাড়ি-ঘর, মসজিদ, স্থাপনা। হামলা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সেখানকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই অভিযান চালিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে চিকিৎসা নেওয়ার মতো আর কোনো হাসপাতালই এখন অবশিষ্ট নেই।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলে কোনো স্থানই ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহায় পায়নি। পুরো গাজা যেন এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় অভিযানের সময় আরও এক ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ২০ বছর বয়সী ওই সেনার নাম নাদাভ কোহেন। এ নিয়ে গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০ ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
এর আগে গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে মিশর, ফ্রান্স এবং জর্ডান। একই সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা লোকজনকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়। শনিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে তিন দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠকের পর তারা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।