আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৪১তম

শেয়ারবাজার ডেস্ক : বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম।আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি কেন্দ্রের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি ইন বাংলাদেশ (বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি) শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আয়োজিত সমৃদ্ধি ও সুশাসন শীর্ষক কনফারেন্সে প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ইউএসএআইডি ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।

কনফারেন্সে বলা হয়, প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সূচকে অন্তর্ভুক্ত আছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি উপাদান। সেই সূচকে ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো- সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে স্বীকার এবং মোকাবিলা করা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন কনফারেন্সে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিংক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন প্রধান বক্তা ছিলেন।  তিনি প্রতিবেদনের ফল তুলে ধরেন। স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দুটি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরণ অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।

মূল উপস্থাপনায় লেমোইন বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.