আজ: সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ইং, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

সংকট কাটছেই না পুঁজিবাজারে

কোথায় গিয়ে থামবে এই পতন?

খালিদ হাসান : পুঁজিবাজার যখন দরপতন থামছিলো না তখন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। এরপর বাজার যখন ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসে তখন ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বাজারে বেশ কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতায় লেনদেন হয়। এরপর জেট ক্যাটাগরি সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এরপর শুরু হয় ধারাবাহিক দরপতন। পতনের সেই ধারা চলতেই থাকে। বাজার একদিন ভালো তো ২ দিন পতন।এভবে চলতে থাকে মাসের পর মাস। টানা পতনের মুখে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব প্রায়। ইদের পরে হয়তো বাজার ভালো হবে এমন আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে সেই আশা যেন আশায় থেকে গেলো।

বিশ্বের অন্য দেশের পুঁজিবাজার যখন ভালো অবস্থানে। সেই সময় দেশের পুঁজিবাজারে চলছে ধারাবাহিক দরপতন।বর্তমান পুঁজিবাজারে দরপতনের শেষ কোথায় এই প্রশ্ন এখন লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের। তাদেরে একটাই বক্তব্যে আসলে কি পুঁজিবাজার আদৌ স্থিতিশীল হবে। না এমন পরিস্থিতিতে বছর পার হবে।

কেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার ইতিবাচক সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ প্রশ্নগুলো খোদ বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে। পুঁজিবাজারে এখন বটম লাইন (তলানি) খুঁজছে সবাই।  নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন পক্ষের পদক্ষেপের পরও ইতিবাচক ফল না আসায় সবার মধ্যে এখন একই প্রশ্নথ কোথায় গিয়ে থামবে এই পতন?

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অস্থায়ী ভিত্তিতে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে পুঁজিবাজার দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই হচ্ছে না । বাজার উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। ভালো কোম্পানির অভাব দীর্ঘদিনের। সুশাসনেরও ঘাটতি তীব্র। পাশাপাশি শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া ঋণসুবিধা (মার্জিন ঋণ) বাজারের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে দীর্ঘ মেয়াদে বাজারে সুফল মিলবে না।

তারা বলছেন,বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বর্তমানে বিনিয়োগ না করে বাজার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাছাড়া সম্প্রতি যে হারে বাজার পড়েছে, তাতে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী লোকসানে রয়েছেন। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা লোকসানে শেয়ার বিক্রির না করার পরামর্শ।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বাজার যে পযার্য়ে এটা বেশিদিন থাকবে না এখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে দাড়াবে। খুব শিগগিরই বাজার নিজ রুপে ফিরবে। বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান।

বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সাথে দর কমেছে ২৭৪ কোম্পানির। অপরদিকে এদিন টাকার অংকে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৫৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে।

এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১২২৯ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৯৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসইতে ৬০২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৫৯৭ কোটি ৫৬ লাখ লাখ টাকা।

বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৭৪ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

শেয়ারবাজার নিউজ/ খা.হা

 

 

৩ উত্তর “কোথায় গিয়ে থামবে এই পতন?”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.