আজ: রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ইং, ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

আনোয়ারুল আজীম অপকর্মে জড়িত কি না তদন্তে বেরিয়ে আসবে: কাদের

শেয়ারবাজর ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতে নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি অপকর্মে জড়িত কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলতে পারছি না। আওয়ামী লীগে অপরাধীদের কোনো ঠাঁই নেই।

বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে তৃতীয়বার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তার জনপ্রিয়তার জন্য। এলাকায় গিয়ে দেখেন, তার জন্য শোকার্ত এলাকার মানুষ। ভেতরে সে কোনো অপকর্ম করে কি না, এসব যখন প্রমাণ হয় তখন শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেন না, দলের লোক হলেও। জিরো টলারেন্স নীতি তার। ভারতের গণমাধ্যমে এসেছে চোরাচালানের কথা। তার মৃত্যুর আগে দেশের কোনো সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন বিষয়টি এলো না?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে খুনিদের কেন নিরাপদে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিলেন? বিভিন্ন দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দিয়েছেন। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে খুনিদের দায়মুক্তি দিতে বিচারের পথরুদ্ধ করেছেন। সাংবিধানিকভাবে খুনিদের বিচারের পথ কেন রুদ্ধ করলেন? মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাই।

জিয়াউর রহমানের বাকশালের সদস্যপদ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানের বাকশালের সদস্য হওয়ার নিয়ম ছিল। কিন্তু উপ-সেনাপ্রধানের সে সুযোগ ছিল না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে দরখাস্ত করে কাকুতি-মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। এর প্রমাণ আছে। বাকশালের ৭১ নম্বর সদস্য ছিলেন তিনি। ইতিহাস নিয়ে বিএনপি বারবার মিথ্যাচার করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলছে আজ ছাত্রলীগ-যুবলীগ নাকি অর্থপাচার করছে। অর্থপাচারে বিএনপি সুপরিচিত। সিঙ্গাপুর-আমেরিকায় কে অর্থপাচার করেছে? তারেক রহমান ও কোকো। সিঙ্গাপুরে পাচার হওয়া অর্থের একটা অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এফবিআই ঢাকায় এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। নিজেরা যে অপরাধে অপরাধী, তার দায় তারা ছাত্রলীগ-যুবলীগের ওপর চাপাতে চায়। এরা কত মিথ্যাচার অপপ্রচার করতে পারে!

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে হতাশার কোনো কারণ নেই, এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। ফুটবলটা আরও এগোতে পারতো। বিশ্বকাপ ফুটবলে যখন দেখি আইসল্যান্ডের মতো দেশ খেলছে। তখন ভাবি আমরা কেন পারি না!

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময় বাংলাদেশ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পেয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন মালদ্বীপের সঙ্গে হারে তখন খারাপ লাগে। বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করছে। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করেন, সহযোগিতা করেন, বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবার চেয়ে ডায়নামিক। সে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়।

যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-কমিটির কো-চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজা, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানসহ উপ-কমিটির সদস্যরা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.