মুহাম্মদ আজিজ খান পরবর্তী ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের চেয়ার ঘোষিত
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2024/05/Muhammed-Aziz-Khan.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনিসেফ মুহাম্মদ আজিজ খানকে ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের আসন্ন চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বর্তমান চেয়ার মারিয়া আহলস্ট্রম-বন্ডেস্টামের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নভেম্বর ২০২৪ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ব্যক্তি খাতের ১৫০ জনের মতো সমাজসেবী ও অংশীদারের এক অনন্য কমিউনিটি ‘ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল’। তাঁদের অনেকেই বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক পরিবারের সদস্য ও আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। নিজেদের অর্থ, নেতৃত্ব ও দক্ষতার সন্নিবেশ ঘটিয়ে তাঁরা শিশুদের জন্য তাঁদের কল্যাণকর বিনিয়োগের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চান। বিশ্বজুড়ে শিশুদের সহায়তা করতে ইউনিসেফে সম্মিলিতভাবে ৫৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের (৫৫২ মিলিয়ন) বেশি বিনিয়োগ করেছেন আন্তর্জাতিক এই কাউন্সিলের সদস্যরা।
ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব আজিজ খান ও তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান খান ‘আঞ্জুমান অ্যান্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (এএসিটি)’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। আজিজ খান এবং তার পরিবার ২০২২ সাল থেকে ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলে যুক্ত আছেন।
শিশুদের জন্য আরও ভালো ভবিষ্যৎ গঠন করা মুহাম্মদ আজিজ খান ও তাঁর পরিবারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে মাতৃভূমি বাংলাদেশে সমাজসেবামূলক কাজ, স্কুলগুলোয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, হাসপাতাল তৈরি এবং মাদকাসক্তি, নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা মোকাবিলায় গৃহীত প্রকল্পগুলোয় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
“আমি শিক্ষার শক্তিতে বিশ্বাসী – শিক্ষা শুধু মানুষকে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের ক্ষমতাই রাখে না বরং একটি ঐক্যবদ্ধ শুভশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে। আমি শিক্ষাকে আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি এবং মানবজাতির বিশ্বাসের নীড় হিসেবে দেখি যা সামাজিক সংঘাত হ্রাস করে বিশ্বে সম্প্রীতি আনতে সক্ষম,” – বলেন মুহাম্মদ আজিজ খান।
বিশেষ করে, কোভিড-১৯ মহামারির পর তিনি AACT-এর সকল কার্যক্রমে শিক্ষা, শিশুদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনা, শিক্ষায় তাদের স্কুল কেন্দ্রীক স্থবিরতা কাটানোর কাজে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন।
“ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের ব্যাপক পরিসরে উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন কাজের প্রমাণিত রেকর্ড রয়েছে। আমাদের সদস্যরা ইউনিসেফের গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতা করার জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে শিশুদের কল্যানে বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজিজ খানকে ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত এবং তাঁর সাথে কাজ করার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করছি, যাতে আমরা সকল শিশুর জন্য একটি উন্নত, ন্যায্য ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি,”- বলেন ইউনিসেফের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কিটি ভ্যান ডার হেইডেন।
জনাব খানের নেতৃত্বে ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল তাঁদের সদস্য বৃদ্ধি এবং শিশুদের অধিকারের জন্য কাজ করা সমাজসেবীদের একটি উত্তম স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। শিশুদের জন্য ভবিষ্যত বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের জীবন এবং জীবিকায় প্রভাব বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বের প্রধান বিষয়গুলিতে সমন্বয়ক হিসেবে এর ভূমিকা শক্তিশালী করবে। কাউন্সিল সদস্যরা গুণগত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলা, তরুণদের কণ্ঠস্বরকে জাগ্রত করা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবেন। শিশুদের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যতে সকল পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধি নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন।
ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের লক্ষ্য বিভিন্ন রকমের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি বার্ষিক সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে সেখানে ইউনিসেফের নেতৃত্ববৃন্দের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করা। ইউনিসেফের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাউন্সিলের সদস্যরা বিশ্বব্যাপী শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলি চিহ্নিত করে কৌশলগত দাতব্য বিনিয়োগ দিয়ে তা সমাধানে একসাথে কাজ করবেন।