আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

সেন্টমার্টিন যাতায়াত করলে মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফগামী দুটি ট্রলার ও কয়েকটি স্পিডবোটে আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) আবারও মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।

নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে গত সাত দিন ধরে চলছে একই ধরনের ঘটনা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফগামী দুটি ট্রলার ও কয়েকটি স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে আবারও গুলি চালানো হয়।

তিনি বলেন, এতে ওই নৌযানগুলো টেকনাফ না গিয়ে আবার সেন্টমার্টিনে ফিরে আসে। গত সাত দিন ধরে মিয়ানমার থেকে এভাবে গুলি ছোড়া হচ্ছে। এতে আতঙ্কে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা চরম সংকটে রয়েছেন।

সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপে ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বসবাস করে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় এখানকার বাসিন্দাদের খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আসে টেকনাফ থেকে। আর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। টেকনাফ-সেন্ট-মার্টিন সমুদ্রপথে প্রতিদিন ট্রলার চলাচল করে। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য পরিবহনে ট্রলারও ব্যবহার করা হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত চলছে। এর ফলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে।

এদিকে গত ৫ জুন সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার সময় মিয়ানমার থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তা বহনকারী একটি নৌকায় গুলি চালানো হয়। ট্রলারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।

এরপর ৮ জুন আবারও কার্গো ট্রলারে গুলি চালানো হয়। কেউ আহত না হলেও ট্রলারটি সাতটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

এই বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ট্রলার ও স্পিড বোট নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তাই ওই নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরী দ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.