সাপ্তাহিক ব্যবধানে সূচক ও লেনদেনে অবনতি
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2015/07/index1.jpg)
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের তিন দিনই কমেছে সূচক। বাকী দুই কার্যদিবস বাড়লেও এর মাত্রা ছিলো তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর সবধরনের সূচকের পাশাপাশি অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরে অবনতি ঘটেছে। আর সপ্তাহশেষে লেনদেনও কমেছে। এছাড়াও ধারবাহিকভাবে কমছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। ফলে আবারও ঝিমিয়ে পড়ছে বাজার।
কোম্পানি আইন সংশোধন না হলে আগামী বছরের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজার থেকে বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিতে হবে। ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের বিষয়টিই এখন শেয়ারবাজারের প্রধান সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ কারণে বাজারে বড় ধরনের পতন নেমে আসতে পারে, এমন আশঙ্কায় অন্য বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। ফলে শেয়ারের বিক্রয় চাপ বেড়ে গিয়ে সূচকের বড় ধরণের দরপতন ঘটছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহ শেষে (১-৫ নভেম্বর) ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছে ০.৩৭ শতাংশ বা ৬২.৩৩ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ০.৭২ শতাংশ বা ৭.৮৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ০.৮৫ শতাংশ বা ১৪.৬১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ২৪৪টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির এবং লেনদেন হয়নি ১ টির। আর টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৯৭ টাকা।
এর আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছিলো ১.৭৯ শতাংশ বা ৮৩.১৯ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছিলো ১.৮৮ শতাংশ বা ২০.৯৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক কমেছিলো ২.০৮ শতাংশ বা ৩৬.৫৮ পয়েন্ট। আর টাকার অংকে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৬ টাকা। সে হিসেবে আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে ১৪.৩৬ শতাংশ বা ২৫২ কোটি ২৮ লাখ ১ হাজার ৩৪৯ টাকা।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ২০টি। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৫১কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৩৫৬টি। সে হিসেবে ডিএসইতে গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ২১.৮৫ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৬০ কোটি ৭৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭৮ টাকা। আগের সপ্তাহশেষে যা ছিলো ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৯০ কোটি ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৭৫ টাকা। সে হিসবে আলোচিত সপ্তাহ বাজার মূলধন কমেছে ০.৭৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৩.১৭ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪.৭৫ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১১.০৩ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ১.০৫ শতাংশ।
এদিকে আলোচিত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ১.৪৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া মোট ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ২০৮টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ৯টি কোম্পানির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার ২৮৯ টাকা।
এর আগের সপ্তাহে সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক কমেছিলো ১.৬৭ শতাংশ। আর সে সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ১১৩ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৩ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ