আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

৬ ইস্যু নিয়ে বিএসইসির সঙ্গে ব্রোকারদের বৈঠক

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ছয়টি ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ কয়েকটি সিকিউরিটিজ হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের সময়সীমা বাড়ানো, এক্সপোজারের সংজ্ঞা পরিবর্তন, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর সাবসিডিয়ারি থেকে লেনদেনের তথ্য নেয়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর শাখা স্থাপনের অনুমোদন, মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর ৩ (৫) এর কার্যকারিতা স্থগিতের সময় বাড়ানো এবং বাজার স্থিতিশীলতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা নিশ্চিত করণে বিএসইসির ভূমিকা রাখার দাবি উত্থাপন করা হয়।

সোমবার বিকেলে বিএসইসির কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এসব দাবি তুলে ধরেন সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমকে জানান, মার্কেট পজেটিভ করার জন্য আমরা আজ (৯ নভেম্বর) শীর্ষ ব্রোকারদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছি। প্রত্যেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী যেন বাজার স্থিতিশীলতায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে সেজন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। হাউজগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের কাছে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে বলে জানান সাইফুর রহমান।

তিনি আরো বলেন, বৈঠকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নির্দিষ্ট সীমায় নামিয়ে আনার জন্য যে ডেডলাইন বেঁধে দেয়া হয়েছে তা যেন বাড়ানো হয়, এক্সপোজারের সংজ্ঞা পরিবর্তন ও ব্যাংকগুলোর সাবসিডিয়ারির লেনদেনের তথ্য সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে না নিয়ে যেন ত্রৈমাসিক ভিত্তিকে নেয়া হয়, সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর শাখা খোলার অনুমোদন দেয়া, মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর ৩ (৫) কার্যকারিতা্র স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোসহ বাজার স্থিতিশীলতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন করার জন্য দাবি জানানো হয়।

সাইফুর রহমান বলেন, আমরা প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবো বলে জানিয়েছি। ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছি। এ নিয়ে বিএসইসি কাজ করছে। এখন বাজারের মন্দাবস্থা কাটানোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেককেই যেন বাজারকে পজেটিভ করার জন্য কাজ করে সেজন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বৈঠকে লঙ্কা-বাংলা সিকিউরিটিজ, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, এনবিএল সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ইউসিবিএল সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

 

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.