পতন অব্যাহত: লেনদেন ৮ মাসের সর্বনিন্ম
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2015/11/index15.jpg)
শেয়ারবাজার ডেস্ক: নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। দৈন্যতা যেন কিছুতেই কাটছে না এখানে। শেয়ারবাজার একটা স্পর্শকাতর জায়গা। তাই দেশে যেকোনো ঘটনা ঘটলেই তা পুঁজিবাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব, স্থায়ী বিনিয়োগ না হওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বাজারে পতন ঘটছে। এছাড়াও ব্যাংকের এক্সপ্রোজার লিমিটের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দরপতন হচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আস্থাকে পুঁজি করেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু টানা দর পতনের সঙ্গে লেনদেনের মন্দায় ক্রমেই বাজারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি ধারাবাহিক পতনে পুঁজি হারিয়ে আবারও পথে বসতে চলেছেন তারা। আর তাই বাড়ানো হচ্ছে, হবে কিংবা সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে এমন ইস্যুতে বিনিয়োগকারীদের ঝুলিয়ে না রেখে এখনই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসেও দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এর ফলে ৬ষ্ঠ দিনের মতো পতনে বিরাজ করছে বাজার। বুধবার প্রথম দিকে বিক্রয় চাপে ক্রমাগত পড়তে থাকলেও প্রথম ঘন্টা পর ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা করে বাজার। কিন্তু ঘন্টা পর উত্থানের বাঁধ ভেঙ্গে টানা পড়ে সূচক। দিনশেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও আগের দিনের তুলনায় কমেছে লেনদেন। আর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ গত আট মাসের সর্বনিন্ম লেনদেন হয়েছে।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৩৭১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৬৬৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১৮৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ২৫৫ কোটি ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। যা গত আট মাসের সর্বনিন্ম। এর আগে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিলো ২৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৪১০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১০৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৬৮১ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ২৯৪ কোটি ৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বা ১৩.২৮ শতাংশ।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮১৩৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৪৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৫৫ লাখ ২১ হাজার টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮১৯২ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ