আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

বে-মেয়াদী স্কীমে রূপান্তর হচ্ছে ৩ ফান্ড

Mutualfunds_sharebazarnewsশেয়ারবাজার রিপোর্ট:  তিন মেয়াদি ফান্ডকে বে-মেয়াদী স্কিমে রূপান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এগুলো হলো: প্রথম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এইমস ফার্স্ট গ্যারান্টেড মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং গ্রামীণ ওয়ান: দি ফার্স্ট স্কীম অব গ্রামীণ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান।

সোমবার বিএসইসির ৫৬০তম সভায় এসব ফান্ডকে বে-মেয়াদীতে রূপান্তর করা হয়। বিএসইরি নির্বাহী পরিচালক এম সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনিটহোল্ডারদের বিশেষ সভায় এসব ফান্ডকে মেয়াদী থেকে বেমেয়াদীতে রূপান্তরের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালা মোতাবেক এসব ফান্ড অবসায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রস্তাবে এ অনুমোদন দেয় কমিশন।

উল্লেখ্য, আইসিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ইউনিটহোল্ডারদের ৯৮.৩৮ শতাংশই বেমেয়াদী ফান্ডে রূপান্তরের পক্ষে ভোট দেন। ইউনিটহোল্ডারদের সভায় উপস্থিত ১২৪ জনের মধ্যে ১২২ জনই বেমেয়াদী ফান্ডে রূপন্তরের পক্ষে ভোট দেন।

এদিকে এইমস ফার্স্ট ও গ্রামীণ ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড দুটি মেয়াদি থেকে বে-মেয়াদিতে রূপান্তর করার জন্য ইউনিটহোল্ডারদের মধ্যে সম্প্রতি ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণে এইমস ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডটি বে-মেয়াদি করার বিপক্ষে ৯১ শতাংশ বা ৩ কোটি ৮৩ লাখ ইউনিটধারী বিনিয়োগকারী ভোট দেন। এর বিপরীতে বে-মেয়াদি করার পক্ষে ৯ শতাংশ বা ৩৭ লাখ ইউনিটধারী বিনিয়োগকারী ভোট দেন। এক্ষেত্রে অধিকাংশ ভোট বে-মেয়াদির বিপক্ষে পড়ায় ফান্ডটি অবলুপ্ত হয়ে যাবে।

এছাড়া গ্রামীণ ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের বে-মেয়াদি করার পক্ষে ভোট পড়ে ১৭৮ জন বিনিয়োগকারীর বা ৮২.৩০ শতাংশের। এর বিপরীতে বে-মেয়াদি করার বিপক্ষে ৩৯ জন বিনিয়োগকারী বা ১৭.৭০ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে ইউনিটধারী সংখ্যা বিবেচনায় বে-মেয়াদি করার পক্ষে ৪০.৮৩ শতাংশ বা ৭০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৭টি ইউনিটধারী বিনিয়োগকারী ভোট দেন। এর বিপরীতে বে-মেয়াদি করার বিপক্ষে ভোট দেন ৫৯.১৭ শতাংশ বা ১ কোটি ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৬টি ইউনিটধারী বিনিয়োগকারী। ফান্ডটিতে ভোটার সংখ্যা হিসাবে বে-মেয়াদি করার পক্ষে আর ইউনিটধারী হিসাবে বিপক্ষে বেশি ভোট পড়েছে। এই জটিলতার কারণে ফান্ডটির সিদ্ধান্ত বিএসইসির উপর বর্তায়।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.