আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬, মঙ্গলবার |

kidarkar

স্বল্প মূলধনীর জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা মার্কেট: বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য আলাদা মার্কেট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর লিস্টিং এবং ট্রেডিংয়ের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম গঠন করা হবে। তবে এই মার্কেটে লেনদেন করতে পারবে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ নীটসম্পদধারী ব্যক্তি যাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে। এক্ষেত্রে এ মার্কেটে নতুন তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন করা থেকে বঞ্চিত হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত ৫৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে স্মল ক্যাপ বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত কমিটির দাখিলকৃত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ১৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিসমূহের লিস্টিং এবং ট্রেডিংয়ের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামে ভিন্ন প্লাটফরম গঠন করা।

এ বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির ইস্যুপূর্ববর্তী ন্যুনতম ৫ কোটি টাকা এবং ইস্যু পরবর্তী নুন্যতম ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। ইস্যু পরবর্তী সর্বোচ্চ মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকার নিম্নে।

শুধুমাত্র কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটর অফারের (কিউআইও)  মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলনপূর্বক স্মল ক্যাপিটাল বেইসড কোম্পানিসমূহ এই বাজারে তালিকাভুক্ত হবে পারবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটরস বলতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ নীটসম্পদধারী ব্যক্তি যাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে তাদের বোঝাবে।

এই বাজারে ডিরেক্ট লিষ্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। বিদ্যমান শেয়ারধারকদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লকইন থাকবে। এই বাজারে শুধুমাত্র কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটররা লেনদেন করতে পারবেন। এই বাজার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত নয়।

বাজারে লেনদেন এর তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানি ন্যুনতম ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করবে। সিকিউরিটিজ সমূহ ডিমেটেরিয়ালাইজড ফর্ম হবে এবং ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে লেনদেন হবে। ক্লিয়ারি,সেটেলমেন্ট এবং ট্রেড সাইকেল হবে এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের অনুরূপ।

স্মল ক্যাপিটাল বেইসড কোম্পানির লিষ্টিয়ের ন্যুনতম ফি এবং অন্যান্য খরচ ধার্য করা হবে। তালিকাভুক্তি এবং কমপ্লায়েন্স এর বাধবাধকতাসমূহ বর্তমানে প্রচলিত আইপিওর এর চেয়ে হ্রাস করা হবে এবং ইলেকট্রনিক কমপ্লায়েন্স ও ডিসক্লোজার প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হবে।

বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালিত হবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটরস চিহ্নিতকরণের জন্য সিডিবিএলে ভিন্ন ধরণের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। এক্সচেঞ্জসমূহ কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করবে।

বিএসইসির গৃহীত এই সিদ্ধান্তগুলোর আলোকে কমিটি বিধিমালা প্রণয়ন করে জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশের ব্যবস্থা করবে। এছাড়াও মার্কেট মেকার বিধিমালা সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটিও কার্যক্রম সম্পন্ন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.