সিএসই সিআরও’র পদত্যগ
শেয়ারবাজার ডেস্ক: অবশেষে পদত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) আহমেদ দাউদ। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর ২৫ মে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। গত বৃহস্পতিবারের (২৬ মে) কমিশন সভায় আহমেদ দাউদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পদত্যাগের কথা স্বীকার করে আহমেদ দাউদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছিল, তার কিছুই প্রমাণ হয়নি। সম্প্রতি আমার বরখাস্তের আদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই পদত্যাগে বাধা নেই।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়ালি-উল মারূফ মতিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বিএসইসি। তার পদত্যাগ ইস্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্টক এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদকে সতর্ক করার পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও এখতিয়ারের বাইরে কাজ করার দায়ে আত্মপক্ষ সমর্থনপূর্বক সিআরওকে বরখাস্তেরও নির্দেশ দেয় কমিশন।
প্রায় আট বছর ধরে আহমেদ দাউদ সিএসইর মহাব্যবস্থাপক অর্থ বিভাগ, কোম্পানি সচিব ও সিএফওসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি কেপিএমজিতে ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালের ২ জুন সিএসইর বিন্যস্তকরণ-পরবর্তী তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিআরও হিসেবে আহমেদ দাউদকে অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ‘অসত্য তথ্য’ সংবলিত চিঠি দেয়ায় বিএসইসির কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিএসই চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ। নোটিসের জবাবে ওয়ালি-উল মারূফ মতিনের পদত্যাগপত্রকে কেন্দ্র করে বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত চেয়ে গত ৬ মার্চ বিএসইসিতে চিঠি দেয়া এখতিয়ারবহির্ভূত ছিল বলে ভুল স্বীকার করেছেন সিএসইর চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়ালি-উল মারূফ মতিনের পদত্যাগপত্রকে কেন্দ্র করে বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত চেয়ে গত ৬ মার্চ বিএসইসিতে একটি চিঠি দেন সিএসই চেয়ারম্যান, যা সিএসই লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৩ অনুসারে সিএসইর এখতিয়ারবহির্ভূত। এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত চাওয়ার ব্যাপারে সিএসইর পর্ষদের অনুমোদন রয়েছে, চিঠিতে এমন চিত্র উপস্থাপন করা হলেও কমিশন এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ পায়নি। এ অবস্থায় ৯ মে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ১৮ ধারা অনুসারে বিষয়টি কমিশনকে অসত্য তথ্য প্রদান বলে মনে করে বিএসইসি, যার কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয় সিএসইর পর্ষদ চেয়ারম্যানকে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় দালিলিক প্রমাণসহ সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয় তাকে।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু