টানা পতন: একেই স্থিতিশীল বলছেন নীতি নির্ধারকেরা!
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2016/06/bazar-23.jpg)
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে সূচকের টানা পতন চলছেই। এর সাথে লেনদেনে মন্দাভাব রয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন বাজেটে কোন প্রণোদনা না থাকায় আস্থাহীনতায় ভুগছে বিনিয়োগকারীরা। তবে পুঁজিবাজার নীতি নির্ধারকেরা বিভিন্ন সম্মেলনে এই বাজারকেই স্থিতিশীল বলছেন।
এদিকে, গত কয়েকমাস ধরে পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের লেনদেন বেড়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট যোগ হয়েছে। যে কারণে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমান পুঁজিবাজার অত্যন্ত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কেউ চাইলেও পুঁজিবাজারে ধস নামাতে পারবে না।
বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের একাধিক সদস্য পুঁজিবাজার স্থিতিশীল উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, প্রস্তাবিত বাজেটে কোন বিশেষ প্রণোদনা না থাকলেও এর বিরুপ প্রভাব পুঁজিবাজারের উপর পড়বে না। কিন্তু বাস্তবে উল্টা চিত্র দেখা যাচ্ছে। শীর্ষ ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের করা বাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে চলমান পতনের জন্য বাজেটকে দায়ী করা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণ: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরু থেকে সূচকের উত্থান থাকলেও ৩০ মিনিট পর টানা পরতে থাকে সূচক এবং একবার ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যহত হয় বাজার। সোমবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩২৮ কোটি টাকা।
সোমবার দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৩৬৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০৭৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭১২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২০ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩ টির, কমেছে ১৭৯ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮ টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩২৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার।
এর আগে রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৩৮৭ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.০৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১০৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭২৪ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ৩২১ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক ৪৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৮১৭৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৯ টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর ৬৬ টির, কমেছে ১৩৫ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮ টির। আজ সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা ৪৮ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু