মূলধন রাখতে ব্যর্থ পাঁচ ব্যাংক: ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত মূলধন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের পাঁচ কোম্পানি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আইএফআইসি ও প্রিমিয়ার ব্যাংক ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত মূলধন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যাসেল-৩ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ হারে অর্থ মূলধন হিসেবে সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকি এড়াতে পর্যায়ক্রমে মূলধন সংরক্ষণের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বলতে ব্যাংকের যেসব ঋণ ও সম্পদ মান খারাপ হয়ে গেছে, সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে।
ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুযারি থেকে ওই ১০ শতাংশের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও দশমিক ৬২৫ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পাঁচ ব্যাংক উল্লেখিত পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর থেকে অতিরিক্ত দশমিক ৬২৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ঢাকা ব্যাংক দশমিক ২৭ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দশমিক ১১ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক দশমিক শূন্য ২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে পেরেছে। তবে আইসিবি ইসলামিক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক অতিরিক্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের জোগান দেওয়া অর্থ ও মুনাফার একটি অংশ মূলধন হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। কোনও ব্যাংক মূলধনে ঘাটতি রেখে তার শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিতে পারে না।
এদিকে মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হলেও ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা। তিনি শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, এখনো ব্যাংকগুলো হিসাবটা বুঝতে পারেনি। এ কারণে তাদেরকে আরও কিছু সময় দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য ব্যাসেল-৩ নীতিমালা কার্যকর হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের মোট সাড়ে ১২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ