কিছুটা স্বস্তি নিয়ে নাড়ীর টানে বাড়ির পথে বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের পুঁজিবাজারে প্রায় পাঁচ বছর পর এবারের ঈদ-উল-ফিতরে কিছুটা হলেও স্বস্তি নিয়ে নাড়ীর টানে বাড়ী ছুটছেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। রাজধানী ছাড়ছেন অনেক বিনিয়োগকারী। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে পুঁজিবাজার টানা ৯ দিনের ছুটির কবলে পড়েছে। চলতি রমজান মাসে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বিনিয়োকারীরা এবার ঈদ করতে গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন।
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকার কারণে অর্থনীতির সূচক ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে সেই কারনে বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হচ্ছেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, ২০১০ সালের ধ্বসের পর থেকে এতো দিন বাজার ঘুরেই দাড়াতে পারেনি। বাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিন্তু কোন পদক্ষেপই বাজারকে ভালো করতে পারেনি। তবে দেরিতে হলেও সে অবস্থার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। তারা বলেন, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য নেয়া সরকারের সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের জন্য অনেকটা আশির্বাদ হয়েছে। আমানতের উপর ব্যাংক সুদ কমিয়ে আনায় আমানতকারীরা এখন বিকল্প হিসেবে পুঁজিবাজারকে বেছে নিয়েছে। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে বিনিয়োগের পরিমান। এ ছাড়া বেশ কিছু নতুন কোম্পানি বাজারে তাদের আইপিও নিয়ে এসেছে। বাজার ইতিবাচক হওয়ার পেছনে এটাও একটি কারণ।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে সূচক ও গড় লেনদেন বাড়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ প্রসঙ্গে বেশ কিছু সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) জানান, এবারে ঈদে অনেক কর্মচারীদের বোনাস দেয়া হয়েছে। মুখ বুজে কাজ করে বেতনের আশায়। আর সেই বেতন সাথে বোনাস তাদের খুশির মাত্রাটা বাড়িয়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে এবি সিকিউরিটিজ হাউজের বিনিয়োগকারী তোহিদুজ্জামান বলেন, ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানে খুশি। কিন্তু বিগত মন্দা বাজারের কারণে কয়েকটা ঈদ কেটেছে খুব যন্ত্রনায়। তিনি আরো বলেন, এবারের ঈদ আমাদের কাছে ব্যতিক্রম। পরিবারের সকলের জন্য নতুন নতুন জামা কাপড় নিয়ে যাচ্ছি গ্রামে। তাই আগামী বছরগুলোতেও ভালোভাবে ঈদ করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা