রুপালী ব্যাংকের এজিএমে গন্ডগোল: এতটা বিশৃঙ্খল এজিএম এর আগে দেখিনি- রিজওয়ানুল হুদা (ভিডিও)
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন) রুপালী ব্যাংকের ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকটির এ এজিএমে উপস্থিত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল শুরু করে দেয়। আর তা দেখে আমন্ত্রিত অতিথি অর্থ মন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো: রিজওয়ানুল হুদা বলেন আমি অনেক এজিএমে অংশ গ্রহণ করি কিন্ত্র এমন বিশৃঙ্খলা পূর্ণ এজিএম আর দেখিনি।
উক্ত এজিএমে কোম্পানির চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য পরিচালকদের বক্তব্যের সময় কয়েক জন বিনিয়োগকারী তাদেরকে মঞ্চ টেবিলে না গিয়ে নিজের সিটে থেকেই বক্তব্য দিতে অনুরোধ করে। আর এ কারণে রিজওয়ানুল হুদা প্রশ্ন করে বলেন, কোম্পানির ৯২ শতাংশ বিনিয়োগের প্রতিনিধি বসে বক্তব্য রাখবে না দাড়িয়ে বক্তব্য রাখবে তার নির্দেশ ইন্ডিভিজুয়াল ইনভেস্টর কিভাবে দেয়?
রুপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে আজকের এজিএমে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক জাকির আহমেদ, আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্য পরিচাকরা। আরো উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো: রিজওয়ানুল হুদা এবং রুপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির কক্তব্যে কোম্পানির চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন জানান, আপনারা অবগত আছেন এ ব্যাংকের ভিতর বাইরের নানাবিধ ষড়যন্ত্র, স্বার্থান্বেষী মহলের অশুভ চক্রান্ত, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, অ-দূরদর্শীতা, বিপুল পরিমান পুঞ্জিভূত লোকসান এবং সর্ব ক্ষেত্রে জবাবদীহিতার অভাবে এ ব্যাংকটি এক সময়ে ধ্বংসের প্রান্তে উপস্থিত হয়েছিল। বর্তমান সরকার এ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুন:গঠনের পর থেকে অর্থাৎ ২০০৯ সালের পর থেকে নতুন পরিচালনা পর্ষদের দক্ষ নেতৃত্ব, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং দায়িত্বশীল ভূমিকার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের ফলে ব্যাংকটি আজ একটি মর্যাদাশীল অবস্থায় পৌছতে পেরেছে।
মনজুর হোসেন আরো জনানা, দেশের শীর্ষ ২০টি ব্যাংক ডিফোল্ডারের কাছে রুপালী ব্যাংকের বিপুল পরিমান অর্থ আটকে আছে। যার ফলে কোম্পানিটির এগিয়ে যেতে তারল্য থাকলেও তা ব্যবহার করতে না পারায় কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এরপর কোম্পানির পক্ষ থেকে রুপালী ব্যাংকের কোম্পনি সচিব মোহাম্মদ আলী একে একে এজিএমের এজেন্ডা সকলের সামনে উত্থাপন করেন। এজেন্ডা উত্থাপনের সময় বিনিয়োগকারীরা উচ্চস্বরে পাশ পাশ বলে ওঠে।যার সাথে এজেন্ডা উত্থাপনের কোন ধারাবাহিকতা ছিল না।
আজকের এজিএমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সম্মতির মাধ্যমে ঘোষিত ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড এবং প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। এর পাশাপাশি পরিচালক আবর্তনের আওতায় ২ জন পরিচালককে অবসর প্রদান এবং পুনরায় নিয়োগ করা হয়, স্বতন্ত্র পরিচালকের পুন:নিয়োগ হয় এবং নতুন বছরের (২০১৬) জন্য অডিটর নিয়োগ এবং তার পারিশ্রমিক নির্ধারিত হয়।
ভিডিও
শেয়ারবাজারনিউজ/রু