নানা খবরে সূচক ও লেনদেনে গতি
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৪ কার্যদিবসই বেড়েছে সূচক। বাকী ১ কার্যদিবস সূচক কমলেও এর মাত্র ছিলো খুবই সামান্য। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহজুরে ডিএসইতে সব ধরনের সূচকের উত্থান ঘটেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর আলোচিত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনে পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২১.৬৯ শতাংশ।
জানা য়ায়, দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে নানা ইতিবাচক খবরে গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেনে উত্থান বিরাজ করে। সরকার কর রেয়াত সুবিধার আওতায় ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের সীমা ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে পারে।
এছাড়াও দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্য ও বাজারকে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস প্রদানে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি হয়েছে। যার ফলে ঈদ পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করে।
জানা যায়, বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে চাই। এ লক্ষ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্থিতিশীল, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও জাতীয় অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান সৃষ্টিকারী এক পুঁজিবাজারের জন্য আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কেনানা একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার উন্নত অর্থনীতি গড়ে তোলার অন্যতম পূর্বশর্ত।
এদিকে বাজার বিশ্লেষকরা বলছে, গত কয়েক কার্যদিবস ধরে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়ছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের (২৬ থেকে ৩০ জুন) ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৭০ কোটি ৮ লাখ ৯১৬ টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬১৮ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ২০৯ টাকা। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৫১ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৭ টাকা। লেনদেন বাড়ার এ হার ২১.৬৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৯১.৬০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত ০.৫৩ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৬.৯৭ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৯০ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির মধ্যে হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪০টির, কমেছে ৬১টির, অপরিবর্তিত ছিল ২৭টির এবং লেনদেন হয়নি ২টির দর।
এদিকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ার পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২৬.১২ পয়েন্ট বা ২.৮৮ শতাংশ।
অন্যদিকে আলোচিত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া মোট ২৭৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১টির, কমেছে ৭২টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ২২টি কোম্পানির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২২৯ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু