মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় সূচকে নেতিবাচক প্রভাব
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সেল প্রেসারে সূচকের পতনে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরুতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয় চাপে সূচকে উত্থান থাকলেও ৫০ মিনিট পর মুনাফা তুলে নেওয়ার লক্ষ করা যায় এতে সেল প্রেসারে টানা পড়তে থাকে বাজার। বুধবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৬ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার ক্রয়ের ঝোক থাকলেও পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই শেষ দিকে বাজারে সেল প্রেশার বেড়ে যায়। পরিণতিতে সূচকের পতন ঘটেছে।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৫৩৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৬৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১১৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭৭৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ১৫৮ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬ টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৮৬ কোটি ৮৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৫৪৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১১৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৭২ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৯৪ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮৪৭৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৩টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ১০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আজ সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু