আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ জুলাই ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

নারকেল গাছ থেকে শিশুর খলখল হাসির শব্দ! আতঙ্ক বাড়ছে, অতঃপর…

ghostশেয়ারবাজার ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর উদিপি জেলায় গোবিন্দ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এমন ঘটনাই ঘটেছে। সন্ধে নামলেই ওই বাড়িতে একটি শিশুর হাসির শব্দ শোনা যেত। স্বভাবতই বাড়ির বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল।

সন্ধে নামলেই ভেসে আসছে একটি শিশুর হাসির শব্দ। কিন্তু বাড়িতে যে সেরকম কোনও শিশুই নেই। তাহলে কে হাসছে? এমন দৃশ্য ভুতুড়ে ছবিতে অনেক সময়েই দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে যদি এমনটা হয়?

বেঙ্গালুরুর উদিপি জেলায় গোবিন্দ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এমন ঘটনাই ঘটেছে। সন্ধে নামলেই ওই বাড়িতে একটি শিশুর হাসির শব্দ শোনা যেত। স্বভাবতই বাড়ির বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। কে হাসছে, কোন জায়গা থেকে হাসির শব্দ আসছে— কয়েকদিন ধরে ভাল করে লক্ষ করার চেষ্টা করলেন বাড়ির বাসিন্দারা। ভাল করে খেয়াল করে দেখা গেল, বাড়ির একটি নারকেল গাছ থেকে শিশুর হাসির শব্দ ভেসে আসে। বাধ্য হয়ে এক জ্যোতিষীর দ্বারস্থ হন গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বেঙ্গালরুর একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই জ্যোতিষী নিদান দেন, নারকোল গাছে কোনও প্রেতাত্মা বাস করে। পুজো করে তাকে সেখান থেকে তাড়াতে হবে। জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী পুজোর আয়োজনও হয়। কিন্তু তাতেও নারকেল গাছ থেকে শিশুর হাসি বন্ধ হয়নি। আসলে, ওই হাসি বন্ধ করার ক্ষমতা পৃথিবীর কোনও ওঝা বা জ্যোতিষীরই ছিল না।

আসলে ওই শিশুর হাসির নেপথ্যে কোনও প্রেতাত্না নয়, সীনা নামে এক ব্যক্তি দায়ী। সীনা নামে ওই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে ওই গাছে নারকেল পাড়তে উঠেছিলেন। তখনই কোনওভাবে নিজের মোবাইল ফোনটি নারকেল গাছের উপরে ফেলে এসেছিলেন তিনি। তাঁর মোবাইল ফোনের রিংটোনে একটি শিশুর হাসির শব্দ ছিল। ফোন না পেয়ে সীনা প্রথমে ভেবেছিলেন সেটি হারিয়ে গিয়েছে। যদিও, ওই নম্বরে ফোন করতেই দেখেন, ফোনটা চালু রয়েছে। কিন্তু ফোনটা কেউই ধরত না। ফলে, ফোন ফিরে পাওয়ার আশায় প্রতিদিনই কাজ সেরে ফেরার পরে নিজের নম্বরে ফোন করতেন সীনা। আর তখনই গাছের মাথায় থাকা ওই মোবাইল ফোনে শিশুর হাসির শব্দ শুরু হয়ে যেত। আর হাসির শব্দ শুনে বাড়িতে বসে কাঁপতেন গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

ফোনের খোঁজ করতে করতেই সীনা ওই ভুতুড়ে কাণ্ডের কথা শোনেন। এর পরেই রহস্যভেদ হয়। গাছ থেকে ভূত, থুড়ি ফোনটিকে নামিয়ে আনতেই ভূতের উপদ্রব থেকে মুক্ত হয় গোবিন্দর পরিবার!

শেয়ারবাজারনিউজ/মা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.