শেয়ারবাজার রিপোর্ট: টানা চার কার্যদিবস ধরে সূচক বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সূচক আবার সাড়ে ৫ হাজার অতিক্রম করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দৈনিক লেনদেন ও বাজার মূলধনের পরিমাণ। কিছুদিন আগেও বাজারে পেনিক সেলের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মন্দা সময় যারা প্যানিক সেল দেয়নি তারাই এখন সফল হচ্ছে।

গত তিন কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় আজও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও শেষ দিকে ক্রয় চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় সূচক পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯১৩ কোটি টাকা।

এদিকে, দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৫১২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৮৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০০২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৯১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৪৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯৯৩ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৮৯৮ কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৮০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু