শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিনিয়োগকারীর মধ্যে চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। যার কারনে প্রতিদিনই বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। তবে ধারবাহিকতায় উত্থানের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজার কিছুটা পর্যবেক্ষণ করছেন। যে কারনে সূচকে বড় ধরণের কোন প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও পৌনে ২ ঘন্টা পর ক্রয় চাপে ধীরে ধীরে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় সূচক ও লেনদেনের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার লেনদেন শেষে সূচক বাড়লেও কমেছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৫৫৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০২৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৩ কোটি ৫০ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৫৪৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০১১ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৯৬৬ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১২৬ কোটি ৬৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬৩টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু