যে কারণে ডোরিন পাওয়ারের ইপিএস বৃদ্ধি
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2015/11/doreen-power.jpg)
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তৃতীয় প্রান্তিকে এক লাফে ডোরিন পাওয়ারের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.৩৫ টাকা থেকে ৫.৬৯ টাকায় উন্নীত হয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ, শেয়ারহোল্ডারসহ সকলের জন্য বিষয়টি সুখকর হলেও কারো কারো দৃষ্টিতে এতো অস্বাভাবিক ইপিএস বৃদ্ধি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, মূলত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডোরিন পাওয়ারের আয় শুধু একটি কোম্পানির (মাদার) ওপর নির্ভর করেছে। সে সময় কোম্পানিটি ৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতো। আর এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল গ্যাসের ওপর নির্ভর করে। যে কারণে কোম্পানির ইপিএস অনেক কম ছিল। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কোম্পানির সঙ্গে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। ৬৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে আরো ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হয়ে মোট ১৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আর এই বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ফার্নেস অয়েলের ওপর নির্ভর করে। এছাড়া গরমের ঋতু থাকায় বিদ্যুৎতের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যে কারণে কোম্পানির ইপিএস তৃতীয় প্রান্তিকে এতোটা বেড়েছে।
উল্লেখ্য, তৃতীয় প্রান্তিকে (১ জুলাই-৩১ মার্চ) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.৬৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৩৫ টাকা (restated)। এছাড়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি’১৭-৩১ মার্চ’১৭ এই তিন মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২.০৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.০৬ টাকা (restated)।
এদিকে ১ জুলাই’১৬-৩১ মার্চ’১৭ এই নয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩.৭৭ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ১.৭৮ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪.০৯ টাকা (পুন:মূল্যায়নসহ)। এছাড়া সম্পদ পুন:মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬.২৬ টাকা। ৩০ জুন, ২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত কোম্পানির এনএভিপিএস হয়েছে ৩৪.৩৪ টাকা (পুন:মূল্যায়নসহ)। এছাড়া সম্পদ পুন:মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪.৬৭ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা