সূচকের পতনেও লেনদেন বেড়েছে বিদেশীদের
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2016/12/dse.jpg)
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি মাসের প্রথম পক্ষে অর্থাৎ ১৫দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৩.৭৫ পয়েন্ট কমেছে। সূচকের এমন নেতিবাচক পরিস্থিতিতে বিদেশীদের শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। এই সময় তারা মোট ৫৪৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই সূত্র জানায়, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৫দিনে ১০ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ ১০দিনে বিদেশীরা মোট ৫৪৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন করেছেন। এর আগের পক্ষে অর্থাৎ মার্চ মাসের শেষ ১৫ দিনে বিদেশীরা মোট ৪৯৯ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে আগের পক্ষের তুলনায় চলতি পক্ষে বিদেশীদের লেনদেন ৯.৪৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গত বছর ২০১৬ সালে এপ্রিলের প্রথম পক্ষে বিদেশীরা ৪৬৫ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছিল।
এপ্রিলের প্রথম পক্ষে ডিএসই-তে মোট লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা এবং দৈনিক গড় লেনদেন ৮৩৮ কোটি টাকা। যা এর আগের পক্ষে ছিল ১০ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা এবং দৈনিক গড় লেনদেন ১ হাজার ৩৮ কোটি টাকা। ২০ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার লেনদেন আরো কমে ৫৫৭ কোটি টাকা হয়েছে। যা চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন।
কিন্তু কী পরিমাণ শেয়ার বিদেশীরা বিক্রি করেছেন এবং কিনেছেন সে তথ্য প্রকাশ করেনি ডিএসই। তবে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ডিএসই-তে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিদেশীরা ১৩২ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার কিনেছেন এবং ১৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার বিক্রি বরেছেন।
এদিকে আলোচিত সময়ে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭১৯ পয়েন্ট থেকে ৭৩ পয়েন্ট বা ১.২৯ শতাংশ কমে ৫৬৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এ সময়ে ডিএসই’র বাজারমূলধন ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা থেকে ১ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা অর্থাৎ ০.৩৯ শতাংশ কমে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকায় অবস্থান করছে। বৃহষ্পতিবার ২০ এপ্রিল লেনদেন শেষে সূচক ৫৫২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইলের। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬২.৩৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির মোট ১৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটিতে কোন বিদেশী বিনিয়োগ নেই তবে ৯.২৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া তুং হাই নিটিং ১৮.২৯ শতাংশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ১৭.৬০ শতাংশ, ডেফোডিল কমপিউটার ১৫.৩৮ শতাংশ এবং হাক্কানি পাল্পের শেয়ার দর ১৩.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ডেফোডিল কমপিউটারে বিদেশী বিনিয়োগ ২.৩২ শতাংশ।
অন্যদিকে আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে ইসলামী ব্যাংকের। ব্যাংকটির শেয়ার দর ২২.৮৭ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে ব্যাংকটির মোট ১৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ব্যাংকটিতে বিদেশী বিনিয়োগ ১৫.১৫ শতাংশ। এছাড়া ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ১৬.৭৬ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্স ১৪.৮৪ শতাংশ, এবি ব্যাংক ১৪.৬১ শতাংশ এবং প্রিমিয়ার লিজিংয়ের শেয়ার দর ১৩.৯৩ শতাংশ কমেছে। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে যথাক্রমে ইউনিয়ন ক্যাপিটালে ০.১৭ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্স ২.৩২ শতাংশ, এবি ব্যাংক ২.৩০ শতাংশ। তবে প্রিমিয়ার লিজিংয়ে বিদেশীদের কোন বিনিয়োগ নেই।
শেযারবাজারনিউজ/আ