তিন কোম্পানির ২৯১ কোটি টাকা রাইটের অর্থ অব্যবহৃত
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইষ্পাত, জেনারেশন নেক্সট এবং বিডি থাই এলুমিনিয়াম রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৪২৬ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৮০ টাকা উত্তোলন করেছে। কোম্পানিগুলোর দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ১৩৫ কোটি ৭০ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৩ টাকা রাইটের অর্থ ব্যবহার করেছে। এখনো ২৯১ কোটি ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৭ টাকা রাইটের অর্থ কোম্পানিগুলো ব্যবহার করেনি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, জিপিএইচ ইষ্পাত: কোম্পানিটি ২৬১ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে। ২০১৬ সালের ১৬ মে কোম্পানিটির রাইট ইস্যুর সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ হয়। ৩১ মে ২০১৮ পর্যন্ত অর্থাৎ দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটিকে রাইটের অর্থ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়। কোম্পানির দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী (২৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৭) রাইট অর্থের ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৬২৯ টাকা ব্যবহার করেছে। বাকি ২৪৮ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার ৩৭১ টাকা আগামী ১৩ মাসের মধ্যে রাইটের অর্থ ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি রাইটের অর্থ তিন খাতে ব্যবহার করবে। ভূমি এবং বিল্ডিং/সিভিল ওয়ার্কস, মেশিনারিজ স্থাপন এবং রাইট ইস্যু খাতে অর্থব্যবহার করবে। এই তিন খাতের মধ্যে ভূমি এবং বিল্ডিং/সিভিল ওয়ার্কসে কোম্পানিটির রাইটের অর্থ ৯৬.৫৯ শতাংশ ব্যবহার বাকি রয়েছে। এছাড়া মেশিনারিজ স্থাপন খাতে কোম্পানিটির রাইটের অর্থ ৮৭.৬৪ শতাংশ ব্যবহার বাকি রয়েছে।
জেনারেশন নেক্সট: কোম্পানিটি ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল কোম্পানিটির রাইট ইস্যুর সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ হয়। কোম্পানিটিকে রাইটের অর্থ ব্যবহারের জন্য ৩০ জুন,২০১৮ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। কোম্পানির দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী (৩১ মার্চ,২০১৭) রাইট অর্থের ৮৫ কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৫ টাকা ব্যবহার করেছে। বাকি ২৭ কোটি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ২৫৫ টাকা এখনো অব্যবহৃত রয়েছে। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি রাইটের অর্থ বিএমআরই এবং ব্যাংক লোন পরিশোধ খাতে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ থাই এলুমিনিয়াম: কোম্পানিটি ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৮০ টাকা রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে। ২০১৬সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির রাইট ইস্যুর সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ হয়। কোম্পানিটিকে রাইটের অর্থ ব্যবহারের জন্য ১৫ মাস অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। কোম্পানির দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী (৩১ মার্চ,২০১৭) রাইট অর্থের ৩৬ কোটি ৮৯ লাখ ৪১ হাজার ২৯৯ টাকা ব্যবহার করেছে। বাকি ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৯৮১ টাকা এখনো অব্যবহৃত রয়েছে। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি রাইটের অর্থ বিএমআরই এবং ব্যাংক লোন পরিশোধ খাতে ব্যবহার করছে। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি রাইটের অর্থ ভূমি এবং বিল্ডিং/সিভিল ওয়ার্কস, মেশিনারিজ স্থাপন, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এবং রাইট ইস্যু খাতে অর্থব্যবহার করছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা