বাজারের স্বার্থে ঋণাত্মক ইকুইটির বিওতে লেনদেন আরও ১৬ মাস
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে ঋণাত্মক ইকুইটির বিওতে লেনদেনের সয়মসীমা আবারো ১৬ মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০১০ সালের ধস-পরবর্তী সময়ে দেয়া এ সুবিধার সময়সীমা গতকাল আবারো বাড়ানো হলো। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় শর্তসাপেক্ষে এ সময়সীমা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণাত্মক ইকুইটির বিও হিসাবে লেনদেন অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগকারী ও বাজার-সংশ্লিষ্টদের স্বার্থ বিবেচনায় ১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলস বিধিমালার ওপর নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৯৯৯ সালের অধ্যাদেশের সেকশন ২০এ ধারার উপধারা (৫) এর বিধি ৩ স্থগিতাদেশের সময়সীমা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণাত্মক ইকুইটির লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ট্রেকহোল্ডারকে এ বিধির ১ ব্যাখ্যা অনুসরণ করতে হবে। ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর থেকে ঋণাত্মক ইকুইটির বিও হিসাবের ক্ষেত্রে প্রত্যেক প্রান্তিকের জন্য আলাদা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। পরিকল্পনায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক ঋণাত্মক হিসাবের সমাধানের বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্য থাকতে হবে। ট্রেকহোল্ডারগুলোকে চলতি অর্থবছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণাত্মক ইকুইটি সমাধানের বিষয়ে তাদের এ পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। পরিকল্পনা জমা দেয়ার পর প্রত্যেক প্রান্তিক শেষে এর অগ্রগতি হিসাব কমিশনে জমা দিতে হবে। প্রান্তিক শেষ হওয়ার সাতদিনের মধ্যে ওই প্রান্তিকের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
ঋণাত্মক ইকুইটির বিষয়ে নতুন নির্দেশনা হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে সব ট্রেকহোল্ডারকে তাদের পরিকল্পনা ও প্রান্তিক অগ্রগতির প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, ঋণাত্মক ইকুইটির বিওতে লেনদেনের সময়সীমা ১৮ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে আমরা আবারো সময় বাড়িয়েছি। তবে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নিজ নিজ পরিস্থিতি উত্তরণের প্রান্তিকভিত্তিক একটি পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। প্রত্যেক প্রান্তিক শেষে এর অগ্রগতির তথ্য কমিশনকে দিতে হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা অনুযায়ী মার্জিন ঋণধারী কোনো বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ওই হিসাবে শেয়ার কেনা-বেচা বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু ২০১০ সালের ধস-পরবর্তী বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েক দফা ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে স্থগিতাদেশের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে আরো ছয় মাসের জন্য ধারাটি স্থগিত করে কমিশন, যার মেয়াদ আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ডিএসই, ডিবিএ ও বিএমবিএর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন করে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ