বসুন্ধরার কাট-অফ প্রাইস নিয়ে ডিএসই’র প্রতিবেদন কমিশনে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বসুন্ধরা পেপারের কাট-অফ প্রাইস ৮০ টাকা কেন হয়েছে তার কারন জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
গত ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ২ নভেম্বর বিএসইসি বসুন্ধরা পেপারের কাট-অফ প্রাইস ৮০ টাকা কেন হয়েছে এবং কারা কাট-অফ প্রাইস বা এর ওপরে বিড করেছে জানতে চেয়ে ডিএসই-কে সাত কার্যদিবসের সময় দিয়ে চিঠি দিয়েছিল। পরে ডিএসই’র আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতদিন সময় আরো বাড়িয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
ডিএসই সূত্র জানায়, বিডিংয়ে ৯৬ যোগ্য বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) কাট-অফ প্রাইস ৮০ টাকা এবং তার ওপরে বিড করেছে।
ডিএসই’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৬ যোগ্য বিনিয়োগকারী পরিমাণগত ও গুণগত (quantitative & qualitative) মানের উপর ভিত্তি করে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার দর হিসেব করেছে বলে জানিয়েছে।
তারা জানায়, পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ অনুযায়ী বিডিংয়ের জন্য দরের সর্বোচ্চ সীমা নেই। এছাড়া কোম্পানির ব্র্যান্ড ইমেজ, মার্কেট শেয়ার, ভাল ভবিষ্যৎ, ব্যবসার পরিধি, অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা, শেয়ার মার্কেটে প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর, পণ্যের বৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা মূল্যায়ন করে শেয়ার দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া কোম্পানির হিস্টরিকাল কস্ট এনএভি, আর্নিং বেসড ভ্যালুয়েশন, প্রযেক্টেড আর্নিং বেসড ভ্যালুয়েশন, ডিসকাউন্ট ক্যাশ ফ্লো মেথড মূল্যায়ন করা হয়েছে।
বসুন্ধরা পেপারে মোট ৪৭৪ যোগ্য বিনিয়োগকারী বিড করেছে। এদের মধ্যে ৩৭৯ জন কাট-অফ প্রাইসে বসুন্ধরার শেয়ার পাবে।
গত ১৬ অক্টোবর বিকেল ৫টা থেকে ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বিডিংয়ে বসুন্ধরা পেপারের কাট-অফ প্রাইস ৮০ টাকা নির্ধারণ হয়।
বসুন্ধরা পেপার আইপিও’র মাধ্যমে মোট ২০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের ফেসভ্যালু ১০ টাকা। এই ২০০ কোটি টাকার মধ্যে ইলিজিবল ইনভেষ্টররা ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার পাবে। এই পরিমাণ অর্থের সর্বোচ্চ ২% পর্যন্ত একজন ইলিজিবল ইনভেষ্টর আবেদন করতে পারে। তবে তা আড়াই কোটির বেশি হবে না। কোম্পানিটির ১০০টি শেয়ারে একটি লট নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব ইলিজিবল ইনভেষ্টরদের কাছে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে তাদের লকইন পিরিয়ড হচ্ছে প্রসপেক্টাস ইস্যুর পর ২৫ শতাংশ প্রথম ছয় মাস এবং ২৫ শতাংশ পরবর্তী ৯ মাস।
২০০ কোটি টাকার একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন ও মেশিনারি আমদানি করবে কোম্পানিটি। যাতে ব্যয় করা হবে ১২০ কোটি টাকা। ৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে। কারখানার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। ইনস্টলেশন কস্টে ব্যয় হবে ৩ কোটি টাকা। যন্ত্রাংশে খরচ হবে ৩ কোটি টাকা। ভূমি ও ভূমি উন্নয়নে খরচ হবে ৩ কোটি টাকা, আইপিওতে খরচ হবে ৫ কোটি টাকা।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেযার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালূয়েশন রির্জাভসহ) ৩০.৪৯ টাকা ও শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালূয়েশন রির্জাভ ছাড়া) ১৫.৭৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় ১.৪৬ টাকা।
২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৭-মার্চ’১৭) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৩.২২ টাকা। ৩০ জুন, ২০১৬ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩.৯৩ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ