আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ মে ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

বাজার স্থিতিশীলতায় নজর দিচ্ছে সরকার

gov and bbশেয়ারবাজার রিপোর্ট : দেশের পুঁজিবাজারের দৈন্যদশায় অবশেষে সরকারের টনক নড়েছে । আর এই উপলব্ধি থেকেই পুঁজিবাজারের এই করুণ অবস্থার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দায়ী করে তাদের এ খাতের প্রতি নজর দেয়ার পরামর্শ দিলেন বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম.মাহফুজুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নীতি-নির্ধারনী মহলের। এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেয়ার তথ্য আসেনি।

অন্যদিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন,বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরকার ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগে উৎসাহি করা যেতে পারে। এখন অনেক ব্যাংকও আছে যাদের বাজারে বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটেরও নিচে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ট্যাক্স কমানো বা ব্যাক্তি ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ডের ওপর যে কর নেয়া হচ্ছে সেটা কমানোর মত সিদ্ধান্তগুলো আগে নেয়া উচিত।

জানা যায়, বুধবার সকালে এমসিসিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মেডিয়েশন ফর সেটেলমেন্ট অব কমার্শিয়াল ডিসপিউটস অ্যান্ড রিকভারি অব ওভারডিউ ব্যাংক লোন’ শীর্ষক এক সেমিনারে বানিজ্যমন্ত্রি তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যখন নির্দেশ দিল ১০শতাংশের বেশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। তখন ওই মার্কেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অনেক কষ্ট করে জমানো টাকা হারিয়ে সর্বসান্ত হয়েছে। তাদের ১০টাকার পুঁজি এখন ৫টাকা হয়েছে। তারা কার কাছে ডিসপিউটস দিবে। তাদের জন্য কিছু ভাবুন।’

বানিজ্যমন্ত্রির কথায় একদিকে যেমন পুঁজিবাজারে ধ্বসের কারন হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কথা উঠে আসে, তেমনিভাবে এ ব্যাপারে সরকার এ নিয়ে নতুন করে ভাবা শুরু করেছে তাও পরিষ্কার হয়েছে।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাসস্ট্রিজ (এমসিসিআই) এর আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

পুঁজিবাজারে ধ্বসের পরে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিরুপ প্রতিক্রিয়া আসায় সাধারন বিনিয়োগকারীরা আস্থার সংকটে ভুগছিলেন। ধ্বসের প্রায় ৪ বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো ধরনের পদক্ষেপও বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারেনি। এর মূল কারণ হিসেবে বাজার বিশ্লেষকরা সবসময়ই আস্থার অভাবের কথাই বলে আসছিলেন। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এমন সময়ে আসা এমন আশাজাগানিয়া কথা তাই বিনিয়োগকারীতের আস্থা সংকট কাটাতে সাহায্যে করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাজার বিশ্লেষক ড. আবু আহমেদ শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘বাজারের ব্যাপারে সরকারের এমন মনোভাব প্রশংসনীয়। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যদি বাজারের ব্যাপারে ইতিবাচক থাকে এবং বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যদি বাজারে বিনিয়োগ করানোর ব্যাপারে আগ্রহী করা যায় তাহলে বিনিয়োগকারীরা আবার উৎসাহি হবে। আবার হয়তো আগের বারের মত বাজার অতটা ফুলে ফেপে উঠবে না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির তুলনায় উন্নতি হবে।’

২০১০ সালের ধ্বসের দেখার পরও ব্যাংকগুলো আবার আগের মতো বিনিয়োগে উৎসাহি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরকার ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকের মাধ্যেমে বিনিয়োগে উৎসাহি করা যেতে পারে। এখন এমন অনেক ব্যাংকও আছে যাদের বাজারে বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটেরও নিচে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ট্যাক্স কমানো বা ব্যাক্তি ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ডের ওপর যে কর নেয়া হচ্ছে সেটা কমানোর মত সিদ্ধান্তগুলো আগে নেয়া উচিৎ।’

এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম.মাহফুজুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নীতি-নির্ধারনী মহলের। এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেয়ার তথ্য আসেনি।’

 

শেয়ারবাজারনিউজ/ও/সা/রু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.