আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ মে ২০১৮, শনিবার |

kidarkar

অর্থমন্ত্রী‘র দিকে তাকিয়ে বাজার

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ব্যাপক পতন ঘটেছে পাশাপাশি লেনদেনের পরিমানও কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৫দিনই কমেছে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে প্রায় সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি ৭৮.১৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫০৭ টাকা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৯ টাকা।

এর এমন ধারাবাহিক পতনে বাজার মূলধন ১০ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা কমেছে।

বৃহষ্পতিবার এক কনফারেন্সে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হয়েছে। তবুও মার্কেটের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। যেহেতু মার্কেটের যারা বড় প্লেয়ার রয়েছেন তাদের ওপর বাজারের গতিশীলতা নির্ভর করে। তাই তাদেরকে নিয়ে আসন্ন বাজেটের পরে বসবো। তাদের সঙ্গে নিয়ে মার্কেটে গতি ফেরাতে করণীয় কাজগুলো সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করে বলেন, সংকটের মূলে ব্যাংক খাত। শেয়ারবাজার ইস্যুতে ব্যাংকের এক্সপোজার গণনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে জটিল অবস্থা তৈরি করে রেখেছে, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারির টানা দরপতনের সময় অর্থমন্ত্রী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শেয়ারবাজার এক্সপোজার গণনায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে গভর্নর ফজলে কবীর যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটাও বাস্তবায়িত হয়নি। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সংকটাবস্থায় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবিকে আমানত বা ঋণ গ্রহণে একক গ্রাহকসীমা-সংক্রান্ত বিধান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। সেটিও করা হয়নি। বস্তুত ব্যাংকের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিআরআর কমানোসহ নানা নীতি-সহায়তা দিলেও শেয়ারবাজারের জন্য কিছু করেনি। এটাও বাজার সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৪.৪৮ শতাংশ বা ২৫৫.৩৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪.৮৪ শতাংশ বা ১০২.৯৩ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩.১২ শতাংশ বা ৪১.০৯ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫০৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৫.৪১ শতাংশ।

আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭.১৮ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৬.৩৭ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫.৪৮ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ০.৯৬ শতাংশ।

সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ২৬৯.৫৭ পয়েন্ট বা ২.৫৮ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ১৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.