আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ মে ২০১৮, রবিবার |

kidarkar

সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিদেশীদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে: রিজভী

শেয়ারবাজার ডেস্ক: আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাকশালী সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিদেশীদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সরকার এখন নিজ দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এখন মুরুব্বীদের কাছে দেনদরবার শুরু করেছেন। কারণ সরকার বুঝতে পেরেছেন তাদের দুঃশাসনের জবাব দিতে মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে।

রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, গণতন্ত্র হত্যা করে, দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে বন্দুকের জোরে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। বিচার বহির্ভূত হত্যায় সারাদেশকে লাশের মিছিলে পরিণত করে, দূর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি আর দলীয়করণের মাধ্যমে গোটা দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছেন সরকার।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকারের ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশন গঠনের পর থেকে আমরা বলে আসছি প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী সরকারের ভোট জালিয়াতির বৈধতার রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে কাজ করছেন। দেশের ভোটার’রা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সুষ্ঠু ভোটের শত্রুপক্ষ বলে মনে করে। এখন পর্যন্ত সিইসি’র সকল কার্যক্রম আওয়ামী স্বার্থের অনুকুলেই বাস্তবায়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, ইসি’র কার্যকলাপে জনগণ মনে করে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে বাংলাদেশে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ সিইসি এখন পর্যন্ত তাঁর কার্যকলাপে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। জাতীয় নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে সিইসি’র অনুগত ভূমিকা ততোই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

বর্তমান ইসি’র পুরো আচরণ এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা ভোটারদের সাথে বিশ^াসঘাতকতা করেছে। সরকারের অবৈধ ও বাকশালী শাসনের জন্য গণতন্ত্রের একটা ‘তকমা’ দরকার, সেজন্য ভোটারবিহীন নির্বাচনকে সীলমোহর দেয়ার জন্যই বর্তমান নির্বাচন কমিশনে সরকারের অনুগত লোকদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং এই সিইসি’র অধীনে বিষাক্ত প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসী নির্বাচন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারী অর্থ ব্যয় করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের কাছে আকুতি জানাতে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে সরকার দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে স্বার্বভৌমত্বকে দূর্বল করে ট্রানজিটসহ ভারতকে সব কিছু উজাড় করে দিয়েছেন। কিন্তু বিনিময়ে কিছুই পায়নি বাংলাদেশ। তবে প্রতিদান হিসেবে ক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

শুক্রবার শান্তি নিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবনে’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের পরে সেখানেই মোদীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ট্রানজিটসহ সব দিয়েছে তার সরকার, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বরাবর দিল্লির পাশে থেকেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের বছরে এবার তাই ভারতের সহযোগিতা চাই। গণমাধ্যমের খবরে এটা পরিস্কার প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) দেশের স্বার্থে ভারত যাননি, তিস্তার পানির জন্য যাননি, সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে যাননি, তিনি গেলেন ক্ষমতায় টিকে থাকার দেনদরবারে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.