শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পর্যায়ে বেতন বৈষম্য, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। নতুন বেতন কাঠামোতে বৈষম্যের অভিযোগ এনে তা দ্রুত নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামীকাল রোববার থেকে আন্দোলনে নামছে তারা। পাশাপাশি ১ জুনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন বেতন কাঠামো পুননির্ধারণের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজাদ।

কর্মসূচিতে রয়েছে রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ, সারাদেশে জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ। এতেও দাবি আদায় না হলে সংগঠনটি পহেলা জুন থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নতুন বেতন কাঠামোতে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কমিটিতে আমাদের প্রতিনিধি রাখা হয়নি। বর্তমান বাজারে সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সরকারের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো বর্তমান বাজার দরের তুলনায় চরম অসঙ্গতিপূর্ণ। যেখানে সর্বোচ্চ স্তরের বেতন স্কেল চূড়ান্ত করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকা সেখানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে মাত্র ৮ হাজার ২৫০ টাকা। যে সময়ে ১২ লাখ কর্মচারী একটি মানসম্মত বেতন কাঠামোর আশায় অপেক্ষমান সে সময়ে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা একীভূত করে সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা বেতন নির্ধারনের প্রস্তাব করায় সারাদেশের গণকর্মচারী অঙ্গনে চরম হতাশা, তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

এসময় ৬ সদস্যের একটি পরিবারের জন্য সর্বনিম্ন বেতম ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণেও দাবি জানান বক্তরা।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ