আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যা যা করণীয়

শেয়ারবাজার ডেস্কঃ ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই অনুযায়ী ভোটের বাকি আর মাত্র দু’দিন। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় শেষ হবে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।

দেশব্যাপী শহর, গ্রামে-গঞ্জে ভোট দিতে উদগ্রীব ভোটাররা। ১০ বছর পর এবারি সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, এতে সাধারণ মানুষ এবং সংগঠনগুলোর মাঝে গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ভোটারদের মধ্যে নানা উচ্ছাস উদ্দীপনা থাকলেও অনেক ভোটারেরই জানা নেই ভোট দিতে গেলে কি নিয়মে ভোট দিতে হয়।

আসুন জেনে নেই একজন সচেতন ভোটারের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা গুলো কি কি?

ভোটের স্লিপ সঙ্গে আনবেন:

ভোটকেন্দ্রে ঢোকার আগে অবশ্যই ভোটের স্লিপ সংগ্রহ করে সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলের অফিস বা প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে এ স্লিপ সরবরাহ করা হয়ে গেছে।

তবে এর পরও ভোট স্লিপ না পেয়ে থাকলে তিনি যে এলাকার ভোটার সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে অথবা ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গিয়ে এ স্লিপটি জোগাড় করতে হবে।

তীয় পরিচয়পত্র লাগবে না:

ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে না। অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রকেই ভোটার আইডি কার্ড মনে করে থাকেন। এটি একদমই ভুল ধারণা।

তবে ইভিএমে ভোট দিতে গেলে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যাওয়া উত্তম। তা না হলে আঙুলের ছাপ দিয়ে আপনাকে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট দিতে হবে।

যেভাবে ব্যালট পেপার ভাঁজ করবেন:

ব্যালট পেপার ভাঁজ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকেই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেন না বলে সেসব মূল্যবান ভোট বাতিলের ঝুড়িতে গিয়ে পড়ে।

ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় সিল দেয়ার পর এমনভাবে ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে, যাতে সিলের কালি অন্য মার্কায় না ছড়ায়। নির্বাচন উপলক্ষে টিভি চ্যানেলে ব্যালট পেপার ভাঁজ পদ্ধতি দেখিয়ে পরামর্শমূলক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে।

ইভিএমে ভোট:

এবার ৯০০ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইভিএমে বামপাশে প্রার্থীদের প্রতীক ও ডানপাশে নাম থাকবে। ইভিএমে পছন্দের প্রতীকের বামপাশে কালো বোতামে চাপ দিলে প্রতীকের পাশের সাংকেতিক বাতি জ্বলে উঠবে। এর পর ডানপাশের সবুজ বোতামে চাপ দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে হবে।

ইভিএমে ভোটারদের স্মার্ট কার্ড/আঙুলের ছাপ/ভোটার নম্বর/জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। সে কারণে ইভিএমে ভোটারদের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড নেয়া উত্তম।

ভোটকেন্দ্রে যা যা নিষিদ্ধ:

ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ, ম্যাচ, লাইটার, ধারালো বস্তু, ব্যাগ বহন, মোবাইল ফোন সবই নিষিদ্ধ। শুধু ভোটারের স্লিপ নিতে হবে।

সেলফি নিষিদ্ধ:

সামাজিক মাধ্যমের দিকে ঝুঁকে আছে এই প্রজন্ম। নিজের যে কোনো কাজকেই সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে সিদ্ধহস্ত অনেকেই। সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন নির্বাচন কমিশন।

ভোটকেন্দ্রের ভেতরের কোনো ছবি, ব্যালটের ছবি বা সেলফি তোলা একেবারে নিষিদ্ধ।

চেক-ইন নিষিদ্ধ:

ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে চেক-ইন দেয়াও নিষেধ৷ তবে ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসে নিশ্চিন্তে চেক-ইন দিতে ও সেলফি তুলতে পারবেন৷

শারীরিক সমস্যায় নেয়া যাবে সঙ্গী:

কোনো ভোটার বৃদ্ধ, অসুস্থ বা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলে সঙ্গে একজন সহায়তাকারী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সাহায্যকারীর সঙ্গে ভোটার আইডি থাকতে হবে।

আপনার ভোট আগেই কেউ দিলে যা করবেন:

ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যদি দেখেন আপনার ভোট অন্য কেউ আগেই দিয়ে ফেলেছে, তা হলে হতাশ হয়ে ফিরে আসবেন না। আপনি ‘টেন্ডার ভোট’ দিতে পারবেন।

বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। সেখানে ভোটার স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা আঙুলের ছাপ দিয়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারলেই আপনিও ভোট দিতে পারবেন।

প্রিসাইডিং অফিসার তার সই করা ব্যালটে আপনার ভোট নিয়ে সেটি তার কাছে রাখবেন। পরে গণনার সময় এটি যুক্ত করবেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.