শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে কতিপয় সংবাদ মাধ্যম। দৈনিক স্টক বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় কমিশনের মূখপাত্রের বরাত দিয়ে ‘দুই পদ্ধতিতে আইপিও আবেদন করা যাবে’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানানো হয়।

সোমবার বিএসইসি‘র মুখপাত্র এম. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উল্লেখ্য, বহুল প্রচারিত  “শেয়ারবাজারনিউজ ডটকম” পত্রিকায় বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্তি নিরসনে “আমান ফিডের আইপিও আবেদনে বিভ্রান্তি” শিরোনামে আমান ফিডের আইপিও আবেদনের সঠিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ মে, দৈনিক স্টক বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় ‘দুটি ধারায় আইপিও আবেদন চলবে’ শিরোনামে কমিশনের মূখপাত্রের বরাত দিয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এ বিষয়ে কমিশনের মূখপাত্রের সাথে উক্ত সংবাদে বর্ণিত সিনিয়র রিপোর্টারের কোনো আলোচনা হয় নাই।

এছাড়াও আজ সোমবার “দুই ধারায় আইপিওর আবেদন করা যাবে। তবে…” শিরোনামে আরও একটি ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা কোম্পানীর আইপিওতে ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিওর চাঁদা গ্রহণ বিলুপ্ত করা হয়েছে। আমান ফিডের আইপিওর চাঁদা গ্রহণ থেকে এনআরবি এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরাসহ সকল প্রকার বিনিরেয়াগকারীর চাঁদা স্টক ব্রোকার/ট্রেক হোল্ডার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে।

আমান ফিডের আইপিও আবেদন চলতি মাসের ২৫ তারিখ শুরু হবে। এ কোম্পানির আইপিওতে বিনিয়োগকারীরা শুধুমাত্র স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/তু