প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশে ৮ কোম্পানির বিলম্ব: উপেক্ষিত বিএসইসির নির্দেশনা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানি তাদের প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। এতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার অমান্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে সঠিক সময়ে কোম্পানির কাছ থেকে বিনিয়োগকারীরা তথ্য জানতে পারছেন না। কোম্পানির আয়-ব্যয়,মুনাফা ইত্যাদি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের জানানো হচ্ছে না। এতে অল্পকিছু লোকের ফায়দা হাসিল হলেও বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীদের তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিএসইসির জারি করা নোটিফিকেশনের ২নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ছাড়া অন্যান্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে তাদের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ৪৫ দিন এবং তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হবে। অন্যদিকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রথম প্রান্তিক ৯০ দিন এবং তৃতীয় প্রান্তিক ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন ও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হবে।
প্রান্তিক প্রতিবেদন দাখিলে বিএসইসির এরকম নির্দেশনা থাকলেও তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানি সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলেছে। কোম্পানিগুলো হলো: ইস্টার্ণ হাউজিং, ফ্যামিলি টেক্স বিডি, কেয়া কসমেটিক্স, কেপিসিএল, এনসিসি ব্যাংক, ওয়াটা কেমিক্যাল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং সোনালী আঁশ।
উল্লেখ্য, একাধিক কোম্পানি তাদের প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বছর শেষ জুলাই মাসে এবং তৃতীয় প্রান্তিক শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল। নিয়মানুযায়ী কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক ১’মে এর মধ্যে জমা দিতে হবে। কিন্তু কোম্পানিটি ২৭ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ফ্যামিলি টেক্সের বছর শেষ ডিসেম্বর মাসে এবং প্রথম প্রান্তিক সমাপ্ত হয়েছে ৩১শে মার্চ। এই ক্ষেত্রে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন ১৫মে এর মধ্যে প্রকাশ করার কথা থাকলেও কোম্পানিটি এখনো তা প্রকাশ করেনি।
আবার কেয়া কসমেটিক্সের বছর শেষ জুন মাসে এবং এর তৃতীয় প্রান্তিক সমাপ্ত হয়েছে ৩১ মার্চ। কোম্পানিটির এই আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় ৩০ এপ্রিল থাকলেও কোম্পানিটি এখনো তা প্রকাশ করেনি।
একই ভাবে খুলনা পাওয়ারের বছর শেষ ডিসেম্বর মাসে এবং প্রথম প্রান্তিক শেষ মার্চে। এই হিসেবে খুলনা পাওয়ারের প্রতিবেদন প্রকাশের শেষ তারিখ গেছে গত ১৫ই মে। কিন্তু এখনো কোম্পানিটি প্রান্তিক প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
এনসিসি ব্যাংকের বছর শেষ হয় ডিসেম্বর মাসে এবং এর প্রথম প্রান্তিক সমাপ্ত হয়েছে ৩১ মার্চ। কোম্পানিটির প্রান্তিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় ১৫ মে থাকলেও কোম্পানিটি তা প্রকাশ করেনি।
ওয়াটা কেমিক্যালের বছর শেষ ডিসেম্বর মাসে এবং প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে ১৫মে এর মধ্যে। কিন্তু এখনো কোম্পানিটি তাদের প্রান্তিক প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বছর শেষ জুন মাসে এবং এর তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় ৩০ এপ্রিল হলেও কোম্পানিটি তা প্রকাশ করেনি।
এই তালিকায় আরো রয়েছে সোনালী আঁশ এবং এর বছর শেষ ৩০ জুন। কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিক সমাপ্ত হয়েছে ৩১ মার্চ। কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় ৩০ দিন বেধে দেয়া হলেও কোম্পানিটি তা উপেক্ষা করে এখনো তা প্রকাশ করেনি।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু/মু/সা